হিজাব নিষিদ্ধকে ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন বললো যুক্তরাষ্ট্

ভারতের কর্নাটক রাজ্যে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত মুসলমান নারী শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা- তাদেরকে এখন হয়তো ধর্ম অথবা লেখাপড়ার মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে বাধ্য হতে হবে। 
হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে কর্নাটক ছাড়াও কলকাতা, দিল্লি এবং চেন্নাইয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও হিজাব নিষিদ্ধের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। 
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (আইআরএফ) এ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রাশাদ হোসাইন বলেন, ‘হিজাব নিষিদ্ধ করা ধর্ম পালনের স্বাধীনতার লঙ্ঘন। 
এটা নারী ও মেয়েদের নিচু করা এবং সামাজিকভাবে দুর্বল করে রাখার শামিল। ’ 
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার মধ্যে ব্যক্তির নিজ পছন্দমতো ধর্মীয় পোশাক পরিধানের অধিকার চর্চাও পড়ে। ’ 
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভারত সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এর জবাবে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কারও মন্তব্য কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। 
যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য কাঙ্ক্ষিত নয়। ’ 
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘ড্রেস কোড’ সংক্রান্ত বিষয়টি এখন রাজ্যের হাইকোর্টে বিবেচনাধীন জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো এবং প্রক্রিয়া, সেই সঙ্গে আমাদের গণতান্ত্রিক ও রাষ্ট্রনীতির আদর্শ হলো- সমস্যাগুলো বিবেচনা করা এবং তার সমাধান করা। যারা ভারতকে ভালোভাবে চেনেন, তারা এই বাস্তবতা যথাযথ ভাবে উপলব্ধি করবেন। ’ 
তবে এই বিবৃতির সমালোচনা করে অনেকে বলছেন, হিজাব-বিতর্ক এখন আর শুধু কোনো দেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ নেই, এটি মানবাধিকার এবং শিক্ষার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেই কারণেই একে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। 
ভারতের সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আছে। সংবিধানে অনুমতি থাকার পরও কেন তাদের ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

2022-04-09 16:35:54

2022-04-09 06:35:54

Published
Categorized as 18

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *