সেই রাতে কক্সবাজারের এসপির সঙ্গে ওসি ও এসআই লিয়াকতের ফোনালাপ

কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো: রাশেদ খান নিহতের পর টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ফোন করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে। তার পর বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীও ফোন করেন এসপিকে। কথা বলেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে। ফোনালাপে ওই রাতের একটি চিত্র উঠে এসেছে।

রাত ৯টা ৩৩ মিনিটে এসপি মাসুদকে ফোন করেন ওসি প্রদীপ। তিনি বলেন, স্যার, লিয়াকতকে নাকি গু’লি করেছে চেকপোস্টে। আমি যাচ্ছি ওখানে। লিয়াকত চেকপোস্টে একটি গাড়িকে সিগন্যাল দিয়েছে। গাড়ি থেকে তাকে পিস্তল দিয়ে নাকি গুলি করেছে, আমি তাকে বলেছি, ঠিক আছে তুমি তাড়াতাড়ি গুলি করো। সেও নাকি গুলি করেছে। উত্তরে এসপি বলেন, এমন কী হয়েছে, বলেন। যান যান।

এরপরই বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ফোন করেন এসপিকে। তিনি এসপিকে বলেন, স্যার, এখানে একটা প্রাইভেটকার আছে। ঢাকা মেট্রো লেখা। আর্মির পোশাক টোশাক পরা। সে ওই বোরখা খুলে ফেলেছে। পরে তাকে চার্জ করেছি। সে আর্মির পরিচয় দিয়ে গাড়িতে চলে যেতে চাইছিল। পরে অস্ত্র তাক করেছিল, আর আমি গুলি করেছি স্যার। একজনকে নিহত করেছি, আরেকজন ধরছি স্যার।

স্যার আমি কী করব? আমাকে পিস্তল তাক করেছিল স্যার। আমি পিস্তল পাইছি তো স্যার, ফোনে বলেন লিয়াকত। এরপর এসপি তাকে বলেন, আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি, তোমারে গুলি করেছে, তোমার গায়ে লাগে নাই। তুমি যেটা করেছ সেটা তার লাগে গায়ে লাগছে।

ফোনালাপ থেকে এটা স্পষ্ট ঘটনাস্থলে না থেকেও লিয়াকতকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ। তার নির্দেশেই সিনহাকে গুলি করা হয়। তবে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের সঙ্গে এসপির ফোনালাপের কোথাও ঘটনাস্থল থেকে মাদক উদ্ধারের বিষয়টি ছিল না। আর ঘটনা নিয়ে প্রদীপ ও লিয়াকতের বক্তব্যের মধ্যে ভিন্নতাও পাওয়া গেছে।

তবে সিনহার সঙ্গী সিফাতের ভাষ্য, সিনহা অস্ত্র তাক করেননি। তবে লিয়াকতের ব্যবহারে রাগান্বিত ছিলেন।

2021-01-30 06:29:31

0000-00-00 00:00:00

Published
Categorized as 17

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *