যে-কারণে সরকারী কর্মকর্তাদের সন্তানদের সরকারী স্কুলে পড়ানোর কথা উঠছে এর কারণ, তুমি যে-খাবার তৈরী করছো এবং প্রতিদিন ভালো-ভালো বলছো, তা তোমার বাচ্চাদের খেতে দিলেই আমি সহজে তা বুঝতে পারবো। তোমার প্রতি আমার সন্দেহের বহু কারণ তুমিই সৃষ্টি করেছো বহু বছর ধরে। তাই আমার মন থেকে সন্দেহ সরাতে তোমাকেই এগিয়ে আসতে হবে আগে।
আজ এদেশের সকল সচিব, এমপি, মন্ত্রী, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ছেলেমেয়ে বা নাতীপুতিরা যদি সরকারি স্কুল-কলেজ বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো, তবে এগুলো নিয়ে যে এলোমেলো সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় তার পরিমাণ বহুল পরিমাণ কমে যেতে পারতো।
প্রশ্নফাঁস, অটোপাশ, উত্তর বলে দেওয়া, না লিখলেও নাম্বার দেওয়া, টাউট-বাটপারদের দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনা বা কারিকুলাম-ইভালুয়েশন-সিলেবাস-টেক্সটবুক ইত্যাদির উন্নয়নের নামে ধারাবাহিক শিক্ষা-দুর্যোগ পরিচালনা করা সহজ হতো না।
কিন্তু এই নিয়ম যদি করাও হয় তবু তা বাস্তবায়ন এই ব্যবস্থায় খুব একটা সম্ভব না। কারণ তারা এখানে লোক দেখানোর জন্য ভর্তি হবে, কিন্তু পড়বে না। আর এর জন্য তাদের খুব একটা জবাবদিহিও করতে হবে না। মাঝ থেকে তাদের লোক দেখানোর আয়োজনের নামে আরো লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং সাধারণের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার আরো ক্ষতি হবে।
এই রাষ্ট্র বানানোর গোড়াতেই বৃহৎ গলদ রাখা হয়েছে। তা হচ্ছে এখানে সব ক্ষমতা একব্যক্তির হাতে দেওয়া হয়েছে এবং তার কোনো জবাবদিহি চাওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। সেই গলদ গত ৫০ বছরে রাষ্ট্রটাকে এই বৃহৎ খাদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সুতরাং সেই গলদ ঠিক না করে, সংস্কার না করে এখানে আলো উৎপাদনের নামে যা কিছু করা হবে, ফল হবে আরো অন্ধকার!
রাখাল রাহা
ঢাকা
2022-04-09 16:36:52
2022-04-09 06:36:52