(পর্ব-৩)
পর্ব ২ তে আমরা আলোচনা করেছিলাম বঙ্গভঙ্গ এবং হিউমের রাজদাসের নীতি নিয়ে, যেখানে ব্রিটিশরাজ একটি গন- বিদ্রোহকে পাস কাটাতে গঠন করেছিল অল ইন্ডিয়া ভারতীয় কংগ্রেস। এই পর্বে আমরা আর বঙ্গভঙ্গ নিয়ে আলাপ করবো না। কারন ১৯১২ সালেই এই প্রক্রিয়া মুখথুবড়ে পড়েছিল বঙ্গীয় ধনী সম্প্রদায়ের আন্দোলনের মুখে। ২য় পর্বে এই আন্দোলন নিয়ে আলোচনা ছিল বিস্তারিত।
৩য় পর্বে আমরা যখন শ্রেণী জাতীয়তাবাদ এবং মৌলানাকে তাঁর কৃষক, তাঁর শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সাথে আন্দোলন কিংবা রাজপথের কিংবা বৈশ্বিক পারিপার্শ্বিকতার প্রেক্ষাপটে দেখি, তখন শ্রেণী জাতীয়তাবাদ আমাদের সামনে মৌলানাকে নিয়ে আসে, তাঁকে আবার আমাদের দেখতে হয় হৃদয়ের চোখ দিয়ে।
“ব্রহ্মপুত্রের এক ভেসে ওঠা চরে ১৯২৯ সালের কোনো এক দিনে হাজারে হাজারে পূর্ববঙ্গীয় কৃষকেরা জমায়েত হয়েছেন। লাইনপ্রথা, বাঙালখেদা, ওজনের কারুচুপি, জমিদার মহাজন জোতদারদের অত্যাচার, শোষন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ডাকা কৃষক সম্মেলনে। ঔপনিবেশিক অসমে সম্ভবত প্রথম কৃষক সন্মেলন ছিল এটাই। সন্মেলনের আহ্বায়ক মওলানা আব্দুল হামিদ খান। পূর্ববাংলার সিরাজগঞ্জের এক আধ্যাত্মিক পীর। ততদিনে অবশ্য পূর্ববাংলা ছেড়ে ব্রহ্মপুত্রের ঘাঘমারি চরে একটাকা চৌদ্দ আনার কুঁড়েঘর তুলে পাকাপাকিভাবে অসমের বাসিন্দা তিনি”।
শ্রেণী জাতীয়তাবাদ একটি বৈষয়িক সাম্প্রদায়িকতা। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানই প্রথম এই শ্রেণী বৈষম্যের জাতীয়তাবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁর রাজনীতিতে।
(চলবে)

মুকুল খান
কলামিস্ট
সিডনি
2021-09-30 16:43:09
2021-09-30 06:43:09