পূর্ব লাদাখে চলতি শীত মওসুমের তুষারপাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার তাপতাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। সেখানে আমেরিকার তৈরি ব্লিজার্ড মাস্কে সজ্জিত হয়ে ভারতীয় সেনারা চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সেনাদের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আছে। কিন্তু এই অবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারীদের মনযোগ এখন সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদারের দিকে সরে গেছে।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে চার জাতি মালাবার নৌ মহড়া। এরই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সমর পরিকল্পনাকারীরা ভারত মহাসাগরে পিএলএ নৌবাহিনীর হুমকি মোকাবেলায় ইস্টার্ন নেভাল কমান্ড এবং আন্দামান-নিকোবার ও লাক্ষাদ্বীপের মতো দ্বীপগুলোকে অগ্রাধিকার প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ডকেও কর্নাটককে ফোকাসে রেখে কারওয়ার ঘাঁটি থেকে তার সম্পদ ছড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে।
পাকিস্তান নৌবাহিনীর মাধ্যমে পিএলএ নৌবাহিনী হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে নিরাপত্তা উদ্বেগ মূল্যায়নের পর নতুন এই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
এরই প্রেক্ষাপটে জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারীরা আরেকটি উভয়চর ব্রিগেড গঠনের পরিকল্পনা করেছেন। ভবিষ্যতে আক্রমণাত্মক অভিযানের জন্য একে প্রস্তুত রাখা হবে।
বর্তমানে ভারতের মাত্র একটি ডেডিকেটেড অ্যাম্ফিবিয়াস (উভয়চর) ব্রিগেড রয়েছে। এর উপাদানগুলো থিরুভানথাপুরাম থেকে পোর্ট ব্লায়ার পর্যন্ত আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে বিস্তৃত।
এ ধরনের বাহিনী সাধারণত ল্যান্ডিং শিপ ট্যাঙ্ক (এলএসটি) ভেসেল ব্যবহার করে পাল্টা-আক্রমণ চালাতে পারদর্শী।
জাতীয় পরিকল্পনাকারীরা থিরুভানথাপুরামে একটি পূর্ণ ব্রিগেড মোতায়েন রাখতে চাচ্ছেন। দ্বিতীয়টি বিশাখপট্টম বা আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে রাখা হবে।
2021-05-04 18:48:24
0000-00-00 00:00:00