যুক্তরাষ্ট্রে ‘লিঞ্চিং’ বিরোধী একটি ঐতিহাসিক বিলে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই আইনে ‘লিঞ্চিং’কে ‘বিদ্বেষমূলক অপরাধ’ (হেট ক্রাইম) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত ১০০ ধরে আইনটি যুক্তরাষ্ট্রে পাশ করানোর জন্য অব্যহতভাবে চেষ্টা চালানো হয়ে আসছে। আইনটি অন্তত ২০০ বার উপস্থাপন করা হলেও তা পাশ হয়নি।
দ্য ইমেট টিল এন্টিলিঞ্চিং অ্যাক্ট নামের ওই আইনের নামকরণ করা হয়েছিল ১৯৫৫ সালে মিসিসিপিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ এক যুবকের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
ওই যুবকের হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে; তখন বেসামরিক লোকজন রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
আইন অনুযায়ী, বেপরোয়াভাবে বিনাবিচারে বিদ্বেষের কারণে হত্যা বা আহত করার জেরে জড়িত ব্যক্তির ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আইনটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সবাই মার্কিনি নয়, সবাই সমান নয়- এই মিথ্যাকে কার্যকর করার জন্য লিঞ্চিং হলো বিশুদ্ধ সন্ত্রাস।’
তিনি বলেন, ‘জাতিবিদ্বেষ কোনো পুরনো সমস্যা নয়, এটা চলমান সমস্যা। ঘৃণা কখনো যায়নি। এটা কেবল সুপ্ত ছিল।’
বিলটি এ মাসের শুরুতে সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছিল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে একচেটিয়াভাবে বিলটির পক্ষে সমর্থন আসে। তবে তিনজন রিপাবলিকান প্রতিনিধি ‘না’ ভোট দিয়েছেন।
আইন না মেলে বা যথাযত প্রক্রিয়া না মেনে গুণ্ডরা যখন কাউকে হত্যা করে, তখন এটা লিঞ্চিং হিসেবে চিহ্নিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। আফ্রিকা থেকে আসা কৃষ্ণাঙ্গরা এর শিকার হন বেশি।
2022-04-09 16:40:57
2022-04-09 06:40:57