রহিমার মা, আমার নাম রহিমার মা

শায়লার সামনে যে মহিলা দাঁড়িয়ে আছে, দেখতে শুনতে বেশ ভালো।দেখলেই বোঝা যায় বয়স খুব বেশি না।পরনের শাড়িটা পুরনো হলেও একদম পরিষ্কার। এমন একটা সুন্দর মহিলাকে ঘরের কাজের জন্য রাখতে শায়লার একদম মন টানছে না।

কিন্তু কি বলবে, কিভাবে না করে দিবে,ঠিক বুঝতে পারছে না।

শায়লা পরিস্কার করে শুনেছে মহিলা তার নাম বলেছে রহিমার মা।

তারপর ও আবার জিজ্ঞেস করল কি নাম বললে তোমার?

কথা খুঁজে না পেলে মানুষ তখন একি কথা প্যাচাতে থাকে।

জ্বে আম্মা, আমার নাম রহিমার মা।

ও আচ্ছা, তোমার নাম রহিমার মা।

রহিমার মা তুমি সব কাজ পারো?

মানে আমার এখানে থাকতে হলে রান্না বান্না, ঘরমোছা, কাপড় চোপড় ধোঁয়া, আমার বেবিকে দেখা সবকিছু করতে হবে তো।

জ্বে আম্মা আমি সব পারবো।

শায়লা মহা চিন্তায় পড়ে গেল।তার একজন সহকারী খুব দরকার। পনেরো দিন ধরে তার বাসায় কোন কাজের লোক নেই।প্রতি বেলায় হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে। একজন ছুডা বুয়া এসে ধোঁয়া মোছা করে দিয়ে চলে যায়। 

অল্প বয়সী হলে তাও ধমক টমক দিয়ে কাজ করানো যায়।কিন্তু এমন একজন সুন্দরী মহিলা।

আবার কাজের একজন লোক ছাড়া তার চলছেও না।

তাই বলে এমন জোয়ান সুন্দরী মহিলাক রাখতে তার মন টানছে না একদম।

কিন্তু চক্ষু লজ্জায় কিছু বলতেও পারছে না।

শায়লা ইতস্তত করে বলল দেখো রহিমার মা, আমি তো তোমাকে রাখতে পারবো না। আমি আগের মেয়েটাকে পাঁচশ টাকা বেতন দিতাম। সেই বেতনেই কাউকে রাখতে চাই।

তোমার নিশ্চয় পাঁচশ টাকায় চলবে না।

আম্মা আফনের যেমুন মনে চায় দিবেন।আফনের মর্জি। আমার কুনু সমস্যা নাই।

আচ্ছা ঠিক আছে। কবে থেকে কাজ করতে চাও।

আম্মা আইজগা থেইকাই করমু।

আচ্ছা শোন রহিমার মা,কথায় কথায় আমাকে আম্মা বলবা না। বেগম সাহেবা বলবা।

আর তোমার জিনিস পত্র নিয়ে আসো।

আমি এক সপ্তাহ দেখবো। কাজ ভালো লাগলে পারমানেন্ট থাকবা।

আর কাজ যদি পছন্দ না হয়। তাহলে বিদায়।

যদি শর্তে রাজি থাকো তাহলে এখানে থাকো।

রহিমার মা জ্বে আম্মা বলেই জিভে একটা কামড় দিল,জ্বে বেগম সাহেবা আমি রাজি।

তোমার ব্যাগ কোথায়?

রহিমার মা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল,তার অভাবের সংসারে খাওয়া জুটে না।পর পর তিন টা বাচ্চা।স্বামী একজন অকর্মা, অলস। ঠিক মতো কাজে যায় না। দিনের পর দিন বাচ্চাদের মুখে ঠিক মতো দুই বেলা খাবার দিতে না পেরে বাধ্য হয়ে নিজের সংসার ছেড়ে ঢাকা আসছে কাজের সন্ধানে।

বেগম সাহেবাকে কিভাবে সে বুঝাবে এই একটাই শাড়ি তার। সেখানে সে ব্যাগ পাবে কোথায়!

শায়লা একটু গম্ভীর হয়ে বললো, চুপ করে আছো কেন?

তারমানে এক কাপড়ে আসছো।

তোমাদের নিয়ে এই এক জ্বালা। বুদ্ধি করে এক কাপড়ে আসবা।যেন আসতে না আসতেই নতুন কাপড় পাও।

শোন আমার বাসার প্রতিটা কাঁচের জিনিস অনেক দামী। খুব সাবধানে কাজ করবা। কোন কিছু ভাঙলে তোমার বেতন থেকে টাকা কেটে রাখবো।

অল্প সময়ের মধ্যে রহিমার মা সব কাজ বুঝে নিল।রাতের রান্না শেষ করে সে বেগম সাহেবাকে খেতে ডাকলেন। খেতে এসে শায়লা সারপ্রাইজ।

সবকিছু ঝকঝকে তকতকে। কাঁচের গ্লাসে পানি চিকচিক করছে। খুব সাধারন রান্না।আলু ভাজি,ডাল আর মুরগি কষা ভূনা করতে বলেছিলো।

কারণ তিতলির বাবা বিজনেস পারপাসে দেশের বাইরে।তিতলি মাংস ছাড়া ভাত খেতে চায় না।

আজ কয়দিন ধরে বাইরের খাবার বেশি খাওয়া হচ্ছে। আগের কাজের মেয়েটাকে নিজের হাতে সব কাজ শিখিয়েছিল।কাজ শেখার পর ভালো বেতনে অন্য জায়গায় চলে গেছে।

তিতলির প্লেটে একপিচ রান আর ডাল উঠিয়ে দিয়ে শায়লা আলুভাজা নিল নিজের জন্য।

একগাল মুখে দিয়েই চোখ বন্ধ করে ফেললো।

সামান্য আলুভাজা,সেটা এতো স্বাদ হয় কি করে!

ভাজি গুলো কুটেছেও কি চিকন চিকন সুঁই এর মতো করে।

ইচ্ছে করছে শুধু আলুভাজা দিয়ে এক প্লেট ভাত খেয়ে ফেলতে।

মুরগির মাংস ও দারুন হয়েছে ‌। একটা গ্রাম্য মহিলা এতটা মজা করে রান্না করতে পারবে শায়লা সেটা কল্পনাও করতে পারেনি।

রহিমার মা ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল রান্না কেমুন হইছে আম্মা?

শায়লার রান্না খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু মুখে সেটা প্রকাশ করলো না।তার ধারনা প্রশংসা করলে মাথায় উঠে যেতে পারে।সে চোখ পাকিয়ে তাকাল। আবার আম্মা। একবার না বলেছি বেগম সাহেবা বলবা।

শোন রান্না মোটামুটি হয়েছে। তোমার চাকরি পারমানেন্ট। কিন্তু  এখানে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।

এক বছরের মধ্যে বাড়ি যেতে পারবা না।

প্রতি মাসের বেতন বিকাশ করে পাঠায় দিবা।ঘনো ঘনো গ্রাম থেকে লোকজন আসতে পারবে না।কেউ দেখা করতে আসলে তাকে বাইরে থেকে বিদায় করবা। ভেতরে ঢুকাবা না।

এক বছরের আগে অন্য কোথাও কাজে যেতে পারবা না। তোমাদের তো প্রধান সমস্যা কাজ শিখলেই পাখা গজিয়ে যায়।

ফট করে ভালো বেতনের অফার পেলেই অন্য জায়গায় চলে যাও।

রহিমার মা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল আমি অন্য কোথাও যাবো না। আপনি যেভাবে বলবেন, সেভাবেই সব কাজ করবো।

তিতলি শুধু ভাত নাড়াচাড়া করছে, কিন্তু কিছু খাচ্ছে না দেখে রহিমার মা বললো,ভইন আফনে তো খাইবার পারতাছেন না। আমি খাওয়াইয়া দিমু?

তিতলি গাল ফুলিয়ে বললো, আমাকে বোন বলবে না।

আমাকে তিতলি আপা বলবে।

অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রহিমার মা এই বাড়ির সবার খুব প্রিয় হয়ে গেল।যদিও শায়লা মুখে প্রকাশ করেনি তার পছন্দের কথা।

তারপরও রহিমার মা বুঝে ফেললো, বেগম সাহেবার তাকে খুব পছন্দ হয়েছে।

একদিন রাতে বেগম সাহেবাকে ফোনে কথা বলতে শুনেছে রহিমার মা।

তিতলির বাবা কে ফোনে বলছিল,বুঝছো তিতলির বাবা, এতো দিনে একটা মনের মতো সহকারী পেলাম।  মহিলাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। রান্না যেমন ভালো, কাজকর্ম ও খুব পরিষ্কার।

তাড়াতাড়ি দেশে আসো। একবার যদি তার হাতের রান্না খাও,অন্য কোন রান্না তোমার মুখে রুচবে না।

রহিমার মা দেখলো তিতলির বাবা বিদেশ থেকে বিশাল বিশাল দুটো লাগেজ ভর্তি জিনিস পত্র আনছে। বসার রুমে বসেই সেই লাগেজ খুলে তিতলির আর বেগম সাহেবার লিস্ট মিলিয়ে মিলিয়ে অনেক জিনিস পত্র দিল‌।তারা সবাই খুব খুশি এতো উপহার পেয়ে।

হঠাৎ করে সাহেব রহিমার মার দিকে তাকিয়ে বললো,ও আচ্ছা তুমি তাহলে রহিমার মা।

সরি রহিমার মা, তোমার জন্য তো কিছু আনতে মনে নেই। ঠিক আছে এখানে অনেক গুলো ঘড়ি আছে।

শায়লা একটা ঘড়ি তুমি রহিমার মা কে দাও।

শায়লা আকাশ থেকে পড়লো!

কি বলছো তুমি,এতো দামি ঘড়ি দিয়ে রহিমার মা কি করবে?

ও কি সময় দেখতে পারবে?

সময় দেখতে না পারলেও হাতে পরবে। একটা ঘড়িই তো।

দাও দিয়ে দাও। এতো কিছু দেখে ওর ও তো মন খারাপ হতে পারে তাই না।

রহিমার মা জিভে কামড় দিয়ে মাথার ঘোমটা আরো বড়ো করে টেনে দিয়ে বললো,না না সাব আমার মন খারাপ হয়নি। আমার ঘড়ি লাগবো না। আমি মূখ্য সুখ্য মানুষ ঘড়ি দিয়া কি করমু।

তিতলির বাবা মাথা ঝাঁকিয়ে বললো,আচ্ছা রাখো।

তোমার জামাই কে দিও না হয়।

পরে এক সময় আমি তোমাকে ভালো দেখে একটা শাড়ি কিনে দিবনি।

প্রতি মাসের শুরুতে রহিমার বাপ এসে বেতনের টাকা নিয়ে যায়। রহিমার মা তখন নিজের রুমে এনে খুব আদর যত্ন করে রহিমার বাপকে ভাত খাওয়ায়।

তার খুব ইচ্ছে করে সাহেবদের মতো রহিমার বাপকেও চেয়ার টেবিলে বসিয়ে ভাত খাওয়ায়।

কিন্তু বেগম সাহেবার ভয়ে মনের ইচ্ছা মনেই লুকিয়ে রাখে।সে মনে করে বেগম সাহেবা তার রুমে ঢুকার পারমিশন দিছে,এইতো বেশি।

রহিমার বাপ ঘড়ি পেয়ে খুব খুশি হলো।

খুশিতে গদগদ হয়ে বললো, রহিমার মা তোমারে তো চেনায় যায় না। শহরের মেম গো লাহান লাগে।গায়ের রঙ ও ফিরছে।

রহিমার মা লজ্জায় লাল হয়ে বললো,কি যে কন না আফনে।

মাইয়া গুলান আছে কেমুন?

হেরা বালাই আছে। তুমি চিন্তা কইরো না।

রহিমার মা চোখের পানি শাড়ির আঁচলে মুছে বলল ওগোরে কইবেন ওগো লেইগ্যা আমার পরাণ খুব পোড়ে। আমি খুব শিগগিরই আইমু ওগোরে দেখতে।

আহা রহিমার মা এতো কান্নাকাটির কি হইলো।

ওরাও বালা আছে, তুমি ও এইহানে বালা আছো।

রহিমার মা বেগম সাহেবার ওপরে খুব খুশি।

রহিমার বাপ যখনি টাকা নিতে আসে ,যাওয়ার সময় বেতন সহ যাওয়া আসার ভাড়াও দিয়ে দেয়। আবার বাচ্চাদের জন্য ফলমুল কেনার জন্য ও টাকা দেয়।

রহিমার মা ও প্রানপন চেষ্টা করে এ বাড়ির সবাই কে খুশি রাখতে।

তিতলি তো রহিমার মাকে ছাড়া কিছুই বোঝে না।

রহিমার মার বাড়ির জন্য খুব পরান পুড়ে। খুব ইচ্ছে করে নিজের বাড়ীতে নিজের সংসারে যেতে।মেয়ে তিনটাকে নিজের হাতে রান্না করে সামনে বসে খাওয়াতে ।

মেয়েগুলো পোলাও মাংস খেতে খুব পছন্দ করে।

আর দুই টা মাস কষ্ট করে কাটাতে পারলেই এক বছর হবে।

তার খুব ইচ্ছে বাচ্চাদের জন্য নতুন জামা কাপড়, ভালো মন্দ বাজার করে নিয়ে যাওয়ার।ছয় মাস পর থেকেই রহিমার মার বেতন বাড়ছে।সেই জন্য সে এখন থেকেই একটু একটু করে টাকা জমাচ্ছে। রহিমার বাপ সেটা জানে না।

জানলে সব টাকা নিয়ে যাবে।

ইদানিং রহিমার বাপকে চেনাই যায় না।গায়ে গতরে চর্বী জমছে ভালো মন্দ খেয়ে খেয়ে।

এই মাসে যখন আসলো প্রথমে তো চিনতেই পারেনি।

রঙচঙা এক শার্ট পরছে। হাতে সাহেবের দেওয়া ঘড়ি।সাদাচুল গুলো সব কালো।

রহিমার মা প্রথমে তো অবাক।

আফনে কার কাছে আসছেন?

কারে চান আফনে?

রহিমার বাপ লাজুক হেসে বললো রহিমার মা আমারে তুমি চেনো না!

আমি রহিমার বাপ।

রহিমার মা গালে হাত দিয়ে বড়ো বড়ো চোখ করে অবাক হয়ে বললো

ও আল্লাহ আফনের চুল কালো হইলো ক্যামতে?

আর বইলো না। আসার সময় ভাবলাম শহরের সেলুনে একটু চুল কাটি।ওরা চুল কেটে রঙ করে দিল।

আমারে কেমুন লাগে গো রহিমার মা?

আফনার তো বয়স কইমা গেছে। বড়োই সৌন্দর্য লাগতাছে।এক্কারে সাহেব গো লাহান।

রহিমার মার এ বাড়িতে কাজের বয়স এখন এক বছর।সে তার কথা রেখেছে।অন্য কোথাও কাজ নেয়নি। ভুল করে ও একবারের জন্য বলেনি বাড়ি যাবো।

শায়লা খুশি হয়ে সুন্দর দেখে দুইটা নতুন শাড়ি আর বাচ্চাদের জন্য ও নতুন জামা কিনে দিয়েছে।

আজ রহিমার বাপ আসছে রহিমার মাকে নিয়ে যেতে।সে এক সপ্তাহ ছুটি পাইছে।

রহিমার বাপকে আজ পোলাও, রোস্ট, গরুর মাংস খেতে দেওয়া হয়েছে।সে খাওয়া দাওয়া শেষ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে বললো, রহিমার মা বাড়িতে যাওনের আগে তুমারে একখান কতা কই।

গুচ্ছা হইয়ো না।

কি কইবেন কন।এতো রঙ্গ তামাশা করেন ক্যান।

মাথা ঠান্ডা কইরা হুনো।

তুমি ঢাকা আহনের পর আমাগো রান্না খাওনের খুব কষ্ট হইতাছিল। তাই বাধ্য হইয়া ঘরে নয়া বৌ আনছি।

তুমি তার লগে চিল্লাচিল্লি কইরো না।বাপ মা মরা এতিম মাইয়া। মাইয়াডা বড়ো দুঃখিনী।

আফনে কি কইতাছেন এগুলা।

আমার সংসার আর আমার নাই।

ও আল্লাহ গো।

আমার এতো বড় সর্বনাশ ক্যামতে হইলো গো। আমি এতো কষ্ট কইরা টাহা পাঠাই।আপনে নয়া বৌ লইয়া ফুর্তি করেন।তাইতো কই, আফনেরে এতো সুন্দর লাগে ক্যা।

রহিমার মা শান্ত হও। কাইন্দো না। একটু ভাইবা দেহ।

আমি পুরুষ মানুষ। তুমি বাড়ি যাও না।বৌ ছাড়া পুরুষ মানুষ কয়দিন থাকবার পারে।

রহিমার মা চোখের পানি মুছে বলল,আফনে আমারে খুব দুঃখ দিলেন রহিমার বাপ।যা করছেন,বালা করছেন। এইগুলা নিয়া যান। আমি সতীনের মুখ দেখমু না।

এইহানে মাইয়াগো লাইগা নতুন জামা আছে।

পারলে ওগোরে একবার ঢাহা নিয়া আইসেন।ওগোরে খুব দেখবার মুন চায়।

আপনি অহন যান।

রহিমার বাপ মনে মনে মহা খুশি।তার জীবনে এখন আর রহিমার মার কোন প্রয়োজন নেই। মাসে মাসে টাকা পেলেই চলবে।

সে আমতা আমতা করে বলল, আচ্ছা ঠিক আছে। তোমার বিবেচনা।না যাইতে চাইলে যাইবা না।

আমি পরের মাসে তোমার মাইয়াগোরে নিয়া আসমুনে।

রহিমার মা তোমার শাড়িডা তো খুব সুন্দর।

নয়া বৌয়ের এমুন একখানা শাড়ির খুব শখ।

তোমার শাড়িডা দিবা বৌ?

রহিমার মা অবাক হয়ে চেয়ে রইলো কিছুক্ষণ।

বেগম সাহেবার কিনে দেওয়া নতুন শাড়ির একটা পরেছিলো।আরেকটা বের করে দিয়ে দিল।

নয়া বৌরে বইলেন এই শাড়িডা তারে আমি উপহার দিছি।

আইচ্ছা কমু।

তাইলে অহন আসি।

তুমি বালা থাইকো।

শরীরের যত্ন নিও।

রহিমার বাপকে বিদায় দিয়ে রহিমার মা চোখের পানি মুছে আর ভাবে আমার আবার শরীর,তার আবার যত্ন!

আমি অহন টাহা ইনকামের মেশিন।

(নব্বই দশকের ঘটনা অবলম্বনে)

রোকেয়া পপি
বাংলাদেশ।

2021-03-04 06:54:56

2021-01-29 18:39:52

Published
Categorized as 52

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *