১৬ বছরের প্রিয় মিডিয়াকে ‘বিদায়’ জানাতে গিয়ে বলেন, ‘এখনই মিডিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার উত্তম সময়।’
কিন্তু কেন?
আলাপ করে জানা গেল, এই বিদায়ের কারণ মূলত দুটি। প্রথমত, মিডিয়ায় কাজের পরিবেশ দিন দিন কমে আসছে। তবে তার এই বিদায় নেওয়ার মূল কারণ, নিজের ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি ধর্ম প্রচার ও অসহায় মানুষদের জন্য বাকি জীবন উৎসর্গ করা। বিশেষ করে দেশের অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য গেল কয়েক বছর ধরে নিজের সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করেছেন সুজানা। যা অনেকেই জানান। সম্প্রতি তিনি এরসঙ্গে সিরিয়াস হয়েছেন ধর্মীয় বিষয়ে।
মিডিয়াকে হঠাৎ ‘বিদায়’ জানানো প্রসঙ্গে সুজানা বলেন, ‘তিন বছর আগে ব্যবসা শুরু করি। সেটা হলো বুটিক্স ব্যবসা। তখনই মনে মনে ঠিক করি, নিজেকে মিডিয়া থেকে সরিয়ে নিতে হবে। সেভাবেই গেল তিন বছর কাজ করেছি। বিপরীতে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি ব্যবসা ও সমাজের নানা কল্যাণে। কিছু আশ্রম ও অসহায় মানুষের দায়িত্ব নিয়েছি।’
২০১৮ সালে ওমরাহ হজ পালনের পর থেকেই মূলত মিডিয়া থেকে মন সরে যায় সুজানার। তার ভাষায়, ‘আমার কাছে এখন মিডিয়া জায়গাটা কমফোর্টেবল না। উপলব্ধি হলো, মিডিয়া আর আমার জন্য না। বিপরীতে বুটিক্স ব্যবসায় মানুষের কাছ থেকে অনেক রেসপেক্ট পেয়েছি। তাই এটাই চালাতে চাই।’
সুজানা জানান, ছোটবেলা থেকেই নামাজ আদায় আর কোরআন পাঠে নিয়মিত ছিলেন। যা অন্যদের জন্য অজানা হলেও তার জন্য নতুন কিছু নয়।
তার ভাষায়, ‘তবে গত তিন মাসে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে কোরআন-হাদিস থেকে অনেক জ্ঞান আহরণ করেছি। সেখান থেকেই মূলত মনে হলো, মিডিয়ায় আমার আর কাজ করা ঠিক হবে না। মিডিয়া ছাড়ার জন্য কেউ আমাকে বাধ্য করেনি। বা তেমন কোনও ঘটনাও নেই। মন থেকেই মিডিয়াকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সুজানা জানান, শেষ ৬ বছর তিনি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন। এখন সেই কাজের পরিধি আরও বাড়াবেন।
এদিকে সুজানার এমন বিদায়ের খবরে অনেকেই ভাবছেন তিনি সম্ভবত সংসার জীবনে পা রাখছেন। তারই প্রস্তুতি হিসেবে এমনটা করলেন। এমন জিজ্ঞাসার জবাবে সুজানা বললেন, ‘জন্ম, মৃত্যু আর বিয়ে- তিনটিই সৃষ্টিকর্তার হাতে। তার হুকুম ছাড়া হবে না। এর বাইরে বিয়ের বিষয়টি আমার পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তবে আমার ইচ্ছা, যিনিই আমার জীবনসঙ্গী হবেন, তিনি যেন ইসলামিক মাইন্ডেড একজন সৎ মানুষ হন। আল্লাহর কাছে এটাই আমার চাওয়া।’
বলে রাখা দরকার, গেল তিন বছর সুজানা জাফর ব্যবসায়িক সূত্রে বেশিরভাগ সময়ই অবস্থান করেন দুবাইয়ে। অনেকের ধারণা, ব্যবসা ও সংসার মিলিয়ে সেখানেই হয়তো থিতু হবেন দেশের অন্যতম এই তারকা মডেল।