৬২ সালে ভারত চীনের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দুদেশই। এই যুদ্ধে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ ছিল এই দুদেশের। এই যুদ্ধে ভারতের পক্ষে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য। তবে ওই সময় চীনের সঙ্গে গভীর মিত্রতা গড়ে তোলে পাকিস্তান।
যুদ্ধের আগে চীনকে অতিরিক্ত সহানুভূতি মনোভাব বা অবহেলার চোখে দেখেছিল ভারত। ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের স্থায়ী সদস্য পদ পেতে সমর্থন করে। ভারতের চিন্তা ছিল, চীন কখনই ভারতের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।
তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনকে সহজভাবে নিয়েছিলেন। এ নিয়ে ভারতের তৎকালীন সেনাপ্রধান কোদানদেরা সুবাইয়া থিমাইয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মনোমালিন্য ছিল। কারণ সেনাপ্রধান চীনকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করতেন।
এ যুদ্ধে নেহেরু কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি চীনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের ব্যাপারে জোর দেন। কেননা তিনি চীনের সম্ভাব্য ভারত আক্রমণ সম্পর্কে আশঙ্কা করেন।
যুদ্ধে বিজয় হয় চীনা সামরিক বাহিনীর। জয়ী হয়ে একতরফা যুদ্ধবিরতি জারি করে চীন। আকসাই চীন দখলে রাখে কিন্তু অরুণাচল প্রদেশ ফিরিয়ে দেয়। যুদ্ধের পর সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ভারত। এরপরই শান্তিবাদী বিদেশ নীতিও কিছুটা পরিবর্তন করে ভারত।
৬২ তে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের ধকল সামলাতে না পেরে ৬৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যে যুদ্ধ বাঁধে তাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারত।
2021-05-04 17:58:49
0000-00-00 00:00:00