স্পোর্টস ডেস্ক: মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটসম্যানদের জন্য বিভীষিকাময়। গতকাল ৬০ রানে অল-আউট হওয়া নিউজিল্যান্ড দল সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝেছে। স্বাগতিক বাংলাদেশ দলও বুঝেছে রান চেজ করার সময়। গতকাল বিকাল থেকেই তাই আলোচনায় মিরপুরের উইকেট।
এখানে পরপর দুটি সিরিজ খেলে কি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হবে? সবাই যখন এমন প্রশ্ন করছে, তখন পেস বোলিং অল-রাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বললেন, মিরপুরের অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে দেবে না। তবে পাওয়া যাবে আত্মবিশ্বাস।
বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় সাইফউদ্দিন বলেন, ‘মিরপুর আমাদের চেনা কন্ডিশন। আমার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ম্যাচই আমি এই উইকেটে খেলেছি। এই উইকেট আমার জানা। স্পিন উইকেট হওয়ায় পেসারদের আরও সুবিধা হয়েছে। কাটার বেশি ধরছে অন্য উইকেটের চেয়ে।
তাই আমরা সুবিধাটা পেয়েছি। ওরা স্পিন বলে রান নিতে পারছিল না, চান্স নেওয়ার কারণে আমরা উইকেটগুলো পেয়েছি, যেমন মুস্তাফিজ। এটা আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ উইকেট বের করার।’
এই উইকেটে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে দেশের বাইরে গিয়ে কী করবেন টাইগার পেসাররা? জবাবে যুক্তি দেখিয়ে সাইফ বলেন, ‘একজন পেস বোলার হিসেবে আমাকে সব কন্ডিশনে সব উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা যেহেতু ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করি, তাই আমাদের সামনে উইকেটের কন্ডিশন অনুযায়ী, আচরণ অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি।
পরের ম্যাচে উইকেটের আচরণ যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে আমরা পেস বা ইয়র্কার, স্লো বাউন্সার, ওয়াইড ইয়র্কার- এসব দিকে যাব। যেহেতু এখানে বর্তমানে কাটারটা বেশি কার্যকর, তাই আমরা এই জিনিসটা করছি। সামনের ম্যাচগুলোতে উইকেট যদি ব্যাটিং সহায়ক হয়, তখন আমরা ব্যাক অব লেন্থে জোরে বল করার চেষ্টা করব এবং ইয়র্কার দিব। আমাদের বোলিং কোচ বা হেড কোচ যখন যা পরিকল্পনা বলে দেন, আমরা সেই অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি।
2021-09-13 17:28:15
2021-09-13 07:28:15