মার্কিন পুলিশি বর্বরতার নতুন ভিডিও প্রকাশ, মুখ ঢেকে দিয়ে চেপে ধরে কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা

কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মার্কিন পুলিশি বর্বরতার নতুন একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে নিউ ইয়র্কের রচেস্টারে ড্যানিয়েল প্রুড নামের এক নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে আটকের পর তার মাথায় একটি ঢাকনা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ঢাকনা পরিহিত মুখ ফুটপাতে চেপে ধরে রাখা হয়েছে। আর এর ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের পরিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ভিডিও প্রকাশ করে বলেছে, ৪১ বছর বয়সী ড্যানিয়েল প্রুড গত ২৩ মার্চ হঠাতই উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে ফোন করা হয়। তবে পুলিশ এসে ড্যানিয়েলকে হাতকড়া পরিয়ে দীর্ঘ সময় ফুটপাথে বসিয়ে রাখে।

ড্যানিয়েল এর প্রতিবাদ করতেই এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সাদা ঢাকনা পরিয়ে দেয়। এর পর সেটি পরা অবস্থায় তার মুখ দু-মিনিট ফুটপাথে চেপে ধরে রাখে পুলিশ। এর ফলে শ্বাস আটকে জ্ঞান হারান ড্যানিয়েল। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ড্যানিয়েলকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৩০ মার্চ লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়ার পর মারা যান ড্যানিয়েল প্রুড। ঘটনার পাঁচ মাস পর পুলিশের এই নির্মম অত্যাচারের ভিডিও জনসমক্ষে এনেছে ড্যানিয়েল প্রুডের পরিবার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হেফাজত থাকা অবস্থায় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকেও গত মে মাসে গলায় হাঁটুর চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। যার প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছেন। ওই ব্যক্তিও ছিলেন নিরস্ত্র। মিনিয়াপোলিস শহরের একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু গেড়ে বসে তার গলার ওপর চাপ দেওয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা যান ফ্লয়েড। এরপর বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েও অনেকেই মারা যান।

সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই আগস্টের শেষ দিকে কেনোশা শহরে জ্যাকব ব্লেক পুলিশি বর্বরতার শিকার হয়। তিনিও কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। তিন সন্তানের চোখের সামনে বিনা অপরাধে পুলিশ তাঁকে পরপর সাতটি গুলি করে। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুলিতে তার শিরদাঁড়া টুকরো টুকরো হয়ে যায়। অস্ত্রোপচার হয়েছে। আছেন হাসপাতালেই। কিন্তু, মেরুদণ্ড সোজা করে আর দাঁড়াতে পারবেন না কেনোশার এই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। তার আইনজীবী জানিয়েই দিয়েছেন, জ্যাকব ব্লেক পঙ্গু হয়ে গেছেন।

এর প্রতিবাদে কেনোশা শহরে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

2021-05-04 18:18:50 0000-00-00 00:00:00
Published
Categorized as 18

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *