ভারতকে ছেড়ে চীনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞগণ বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবন’তির যে জল্পনা, তা অতিরঞ্জিত।

পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার একটি টেলিফোন আলোচনার পরে এই মিডিয়া ঝড়ের সূচনা ঘটে। ওই টেলিফোনের পরে একটি দাবি সামনে উঠে আসে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে কয়েক মাস ধরে সাক্ষাৎ দেননি।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী আসলে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে সাক্ষাৎ দেননি।

ভারতীয় সংবাদপত্রগুলো এই তথ্য প্রচার করতে শুরু করে যে, চীন নানাভাবে বাংলাদেশে তাদের জায়গা করে নিচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তারা বলছেন যে, বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৯৭ ভাগ হারে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়েছে।

তাকেও বলা হচ্ছে যে, এটা আসলে একটা ‘খয়রাতি’ বা দাতব্য প্রকল্প। জুলাই মাসের শেষদিকে সাবেক জ্যেষ্ঠ ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লিখেছিলন। সেই নিবন্ধের শিরোনাম ছিল: বাংলাদেশ এখন চীনা রাডারে।

শিরোনাম ছিল: ফোকাস অন বাংলাদেশ। ওই সম্পাদকীয়তে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল যে, ভুল নীতি অনুসরণের কারণে ভারত এক বন্ধু প্রতিবেশী হারাতে বসেছে।

এসব প্রতিবেদন এবং মন্তব্য প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে নেপাল-ভারত সংকটের মতই একটা বিষয়ে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ যেন ভারতীয় প্রভাব থেকে সরে গিয়ে চীনের কব্জাবন্দী হতে চলেছে।

2021-01-30 06:29:31

0000-00-00 00:00:00

Published
Categorized as 17

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *