সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, অসংখ্য মানুষ বলবেন তাদেরকে (ধর্ষক) ক্রসফায়ার দেয়া হোক, হত্যা করা হোক, জনসম্মুখে হত্যা করা হোক কিন্তু কোন বীভৎস অপরাধকে আরেকটি বীভৎস অপরাধ দিয়ে দমন করা যায় না।
তিনি বলেন, এসব কথা কেন আসছে, আসছে মানুষের মধ্যে হতাশা বোধ থেকে, ক্ষোভ থেকে, কষ্ট দুঃখ থেকে এবং সার্বিক বিচার ব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের অনাস্থা থেকে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নারী নির্যাতন ধর্ষণ : কি ভাবছেন আইন প্রনেতারা টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ক্রসফায়ার করে হত্যা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা হচ্ছে বীভৎস অপরাধ। সেটাকে আপনি ধর্ষণ দমানো বা অন্য যেকোনো অপরাধ দমানোর কাজে ব্যবহার করাটা পৃথিবীর কোন দেশেই সফল হয়নি।
দুতার্তে চেষ্টা করছিল ফিলিপাইনে মাদক দমনের জন্য ক্রসফায়ারকে ব্যবহার করতে কিন্তু সেটা সফল হয় নি। সুতরাং একটি অপরাধ দিয়ে আরেকটি অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আইন যেটা আছে সেটা যথেষ্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ সংশোধিত হয়েছে। সেখানে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত সাজা দেওয়া আছে, যাবৎ জীবন কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে, কিন্তু প্রয়োগটা কোথায়? ১০১টি ট্রাইব্যুনাল রয়েছে, আর মামালা পেন্ডিং আছে ১ লাখ ৭০ হাজার।
প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে মামালা পেন্ডিং আছে ১৭০০-এর মতো। তো কখন এই মামলা গুলোর শুনানি হবে? এটা হচ্ছে এক নম্বর সমস্যা, দুই নম্বর সমস্যা হচ্ছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো।
তিনি বলেন, একই অপরাধে যদি কোন নারী যুক্ত থাকে তখন সেই নারীর আচার-আচরণ, পোষাক, তার ব্যক্তি জীবন, তার চেহারা এগুলো অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়ে যায়। তখন মূল অপরাধ ডাকা পড়ে যায়।
2021-01-30 06:29:31
0000-00-00 00:00:00