বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসানে রাষ্ট্র ক্ষমতার সংস্কার প্রশ্নে কিছু করণীয়

১। বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্মদাতা জবাবদিহিহীন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অবসান করে ক্ষমতাধরদের কর্মকান্ডকে জনগণের নিকট জবাবদিহিতে বাধ্য করা।

২। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সমুহকে সরকারের নির্বাহী কর্তৃত্বমুক্ত করা।

৩। শর্ত দিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকারকে নিয়ন্ত্রন করার হাত থেকে জনগণকে মুক্ত করা।

৪। রাষ্ট্রের আয়-ব্যায়ের হিসাবের প্রশ্নে জনগণের নিকট ক্ষমতাধরদের জবাবদিহি বাধ্যতামুলক করা।

৫। স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের ঘোষনা জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের এই তিনটি বিষয়কে সংবিধানের মুলনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

৬। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণের মানবিক মর্যাদা লংঘিত হয় এমন সমস্ত আইনকে সাংবিধানিকভাবে অবৈধ ঘোষনা করে জনগণের মানবিক মর্যাদা সংরক্ষনে কার্যকর আইন প্রণয়ন করা।

৭। জাতীয় সংসদে প্রণীত সমস্ত আইনের প্রশ্নে জনগণের আপত্তিকে হিসেবের মধ্যে নেয়ার জন্য সরকারের নির্বাহী কর্তৃত্ব মুক্ত স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করা ও গণবিরোধী বা স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের তিন মুলনীতি সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার বিরোধী আইন সমুহকে জনসম্মতির ভিত্তিতে বাতিল ঘোষনার ক্ষমতা দান করা, সর্বোপরি জনগণের মানবিক মর্যাদা লংঘিত হয় এমন কোন আইনকে সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান না করাই হবে জনগণকে গণবিরোধী কার্যক্রম থেকে রক্ষা করা।

উপরে আলোচিত বিষয় সমুহকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রশ্নে কার্যকর করাই হবে দেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে নিশ্চিত করা। এসব বিষয়ে আওয়াজ না তুলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলার অর্থ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার বিরোধী অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে লালন করা।অতীতে আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে সেটাই করেছি ফলে অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থা অটুট থেকে গেছে তার ফল দেশবাসী ভোগ করছে।

আমরা কি এখনও খুন, ধর্ষন বিরোধী আন্দোলনে অতীতের ধারাকে অনুস্মরন করতে চায়?

2021-01-30 06:29:31

0000-00-00 00:00:00

Published
Categorized as 17

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *