যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের শেষ বিতর্ক করোনাভাইরাস, বর্ণবাদ নিয়ে বাক-বিতণ্ডা এবং একে অপরকে দুর্নীতির অভিযোগ দেয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে আরও লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাইডেন। অন্যদিকে ট্রাম্প মনে করেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত বিবিধ নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে সবকিছু উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত।
জো বাইডেন তার ছেলের ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে সরাসরি সুবিধা পেয়েছেন, অসমর্থিত সূত্র উদ্ধৃত করে এরকম অভিযোগ তোলেন মি. ট্রাম্প। জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর দেয়ার ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার বিষয়টি উল্লেখ করে পাল্টা অভিযোগ তোলেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ১১ দিন আগে হওয়া বিতর্ক শেষে মনে করা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় মি. বাইডেন বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবসময় বেশি সংখ্যক ভোট পেলেই যে জয়ী হওয়া সম্ভব, সেরকম নয়। আর কিছু রাজ্যে জয়-পরাজয় নির্ধারণ হতে পারে খুবই কম ভোটের ব্যবধানে। সে সব রাজ্যের ফলাফল নির্বাচনের সার্বিক ফল বদলে দিতে পারে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভোট ব্যহত হওয়ায় এরই মধ্যে চার কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ তাদের ভোট দিয়েছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রায় ২৩ কোটি ভোটার রয়েছে।
বিতর্কে অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য কেমন ছিল?
আগের বারের বিতর্কে হওয়া রাজনৈতিক বচসার বিষয়টি মাথায় রেখে আয়োজকরা এবার কোনও একটি বিষয়ে একজন প্রার্থীর উদ্বোধনী বক্তব্যের সময় অন্য প্রার্থীর মাইক্রোফোন বন্ধ করে রেখেছিলেন যেন প্রার্থীদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা সীমিত রাখা সম্ভব হয়।
কিন্তু তা সত্ত্বেও এনবিসি’র সঞ্চালক ক্রিস্টেন ওয়াকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ৯০ মিনিটের বিতর্কে বেশ কয়েকবার দুই প্রার্থীই একে অপরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। নিজেদের সমাপনী বক্তব্যে দুই প্রার্থীই যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিপরীতমুখী বক্তব্য দিয়েছেন।
2021-05-04 21:28:31
0000-00-00 00:00:00