বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আরাকান আর্মির হামলায় মিয়ানমারের বহু সেনা হতাহত

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাথেদং ও মংডু টাউনশিপের মাঝামাঝি জায়গায় অস্থায়ী সেনা চৌকি ও পুলিশের ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আরাকান আর্মি (এএ) বেশ কয়েকজনকে হত্যা ও অনেককে আহত করেছে।

সেনামুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, এএ যোদ্ধারা রকেট-চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) দিয়ে ইন দিন গ্রামের কাছে মাইয়ু পাহাড়ের পাদদেশে একটি অস্থায়ী সেনাচৌকির উপর হামলা চালায়। এছাড়া রাথেদং টাউনশিপের আতেত নান ইয়ার গ্রামের কাছে সীমান্ত পুলিশের একটি ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয়।

তিনি বলেন, সেনা চৌকিতে আরপিজি নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আধাঘন্টা যুদ্ধ চলে। এরপর এএ পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। এসব হামলায় সরকারি সেনাদের বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে।

মৃত্যুর বিস্তারিত সংখ্যা তিনি উল্লেখ করেননি।

মাইয়ু পাহাড়ের পাশে রাথেদং ও মংডু টাউনশিপ সংযোগকারী একটি পার্বত্য পথে এই সংঘর্ষ হয়। পাহাড়ের দুই পাশেই অস্থায়ী চৌকি বসিয়েছিলো সরকারি বাহিনী।

রাথেদংয়ের এক অধিবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন: মাইয়ু সড়কে সংঘর্ষ হয়। পার্বত্য সড়কে জাপানি পাহাড় নামে একটি জায়গা আছে। পাহাড়ে সেনা চৌকি ও আতেত নান ইয়ার গ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে সংঘর্ষ হয়। এটি থাজিন মিয়াইং ও নিয়াউনবিনলা গ্রামপুলিশের ফাঁড়ি।

এসব হামলায় ৫০ জনের মতো এএ যোদ্ধা অংশ নেয় বলে সেনা মুখপাত্র জানান। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বাহিনীর উপর আকস্মিক হামলা চালানোর জন্যও এএ-কে দায়ি করেন তিনি।

গত ১৩ অক্টোবর রাথেদং টাউনশিপের আংথারজি গ্রামের কাছে পাহাড়ি এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও এএ-র মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে মিয়ানমার বাহিনীর সহায়তায় জঙ্গিবিমান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয় বলে গ্রামবাসীরা জানান। সেখানে উভয় পক্ষে ব্যাপক হতাহত হয়।

৩ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত আংথারজি গ্রামের কাছে পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষে হতাহতের খবর পাওয়া যায়।

রাখাইন এথনিক কংগ্রেস জানায়, গত দুই মাসে সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে কিয়াকতাউ, রাথেদং ও মারাউক-উ টাউনশিপ থেকে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ২০১৮ সাল থেকে চলা সংঘর্ষে ২২৬,০০০ মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছে।

রাখাইন রাজ্য বাদে সারাদেশে এক তরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর আগে এএ-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে মিয়ানমার সরকার।

2021-05-04 20:26:57

0000-00-00 00:00:00

Published
Categorized as 18

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *