বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন কৌশল

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে রোহিঙ্গারা। এ জন্য মাধ্যম হিসেবে তারা ব্যবহার করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইসির কিছু অসাধু ব্যক্তিকে। যারা অর্থের বিনিময়ে তাদের নাগরিক পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে। বিষয়টি নিয়ে সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

ইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে নিবন্ধিত প্রায় সোয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গা শত চেষ্টা করেও ভোটার হতে পারবেন না। কারণ তাদের বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। তবে, এই তালিকার বাইরে অর্থাত্ ২০১৭ সালের আগে যেসব রোহিঙ্গা এসেছেন তাদের কোনো ডাটাবেজ সরকার কিংবা ইসির কাছে নেই। তাই অনিবন্ধিত রোহিঙ্গারাই এখন নানান কৌশলে ভোটার হতে চাইছেন।

জানা গেছে, মোট ৪৬ রকমের তথ্য নিয়ে ডাটাবেজ গুলো তৈরি করা হয়। এখানে নতুন যে কোনো ব্যক্তি ভোটার হতে নির্বাচন কমিশনে এলে ভোটারের তথ্য ফরম পূরণ করে ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়ার পর প্রথমেই মিলিয়ে দেখা হয় ঐ ডাটাবেজ থেকে।

সেখানে না মিললে, দেখা হয় এ দেশের নাগরিকদের তথ্যের সঙ্গে। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আসা ব্যক্তির আঙুলের ছাপ রোহিঙ্গা ও এদেশীয় নাগরিকদের সঙ্গে না মিললেই কেবল নিবন্ধিত হতে পারেন। তাই কোনো অসাধু ব্যক্তি বা চক্র রোহিঙ্গাদের ভোটার করলেও ক্রসম্যাচিংয়ের সহায়তায় তাকে ধরতে পারে।

তবে বায়োমেট্রিকের বাইরে থাকা এসব রোহিঙ্গাকে কীভাবে একটি কাঠামোর মধ্যে আনা যায় কিংবা তাদের স্বচ্ছতার মাধ্যমে আনতে রাষ্ট্রের কোন সংস্থা কাজ করবে, সেসব বিষয়ে বেশ কিছু নিদের্শনা দিয়েছে ইসি কর্তৃপক্ষ।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, আগামী দিনে অপরিচিত কিংবা অবাংলাদেশি কোনো নাগরিককে ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে পরিচয় নিশ্চিত ছাড়া কোনো জনপ্রতিনিধি নাগরিক পরিচয় সনদ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সেই সাথে জালিয়াতির কোনো রকম প্রমাণ পেলে আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের কথাও জানায় ইসি কর্তৃপক্ষ।

2021-01-30 06:29:31

0000-00-00 00:00:00

Published
Categorized as 17

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *