উজানের ঢল সামাল দিতে খুলে দেয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। তিস্তার বন্যায় বসতঘরে পানি ঢুকছে। চরাঞ্চলে ১০ হাজার পরিবার ইতোমধ্যে পানিবন্দী হয়ে গেছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন।
নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানায় নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
টানা দুই দিনের বৃষ্টির ফলে তিস্তাসহ জেলার সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে আমন ধানের বীজতলার পাশাপাশি বাদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার কারণে বিভিন্ন পুকুরের মাছ বের হওয়ার ফলে মৎস্য চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তিস্তার বন্যায় ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছচাঁপানী, ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারী, কৈমারীসহ ১০ ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার ১৫টি চর ও গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
ওই সকল এলাকায় বসবাসকারীদের নিরপদে উঁচু স্থানে সরে থাকার জন্য বলা হয়েছে। তিস্তার চরাঞ্চলের বাদাম ক্ষেত ও আমন ধানের বীজতলা হাঁটু থেকে কোমড় পানিতে তলিয়ে রয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার অধিকাংশ নিচু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের সব কয়টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
2021-01-30 06:29:31
0000-00-00 00:00:00