প্রথম সেঞ্চুরিতে অনন্য জয়

প্রথম দিনের মতো আবারও নির্ধারিত সময়ের আগেই থামল খেলা। সেদিন হয়নি ১৪ ওভার, কাল ১৭। দুই দিনেই বাংলাদেশ বোলিংয়ে, তাই ক্ষতিটা মুমিনুল হকের দলেরই। কাল যেমন মাহমুদুল হাসান জয়ের ইতিহাস গড়া দিনটিতে আরও এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। 
খেলা আগে শেষ হওয়ায় তা হলো না। শেষ বিকেলে ফ্লাডলাইটের আলোয় বল করে কয়েকটি উইকেট নেওয়ার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। তাতে অবশ্য দিন খারাপ গেছে তা বলা যাবে না। জয়ের ব্যাটে দিনটি বাংলাদেশেরই। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি সেঞ্চুরিয়ান থেমেছেন ১৩৭ রানে। এই প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোনো বাংলাদেশির সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানও এটি। তার ব্যাটেই আগের দিন বিপদে পড়েও তা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ৯৮ রানে দিন শুরু করা বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ২৯৮ রানে। ৬৯ রানের লিড পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৬ রান করেছে তারা। তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে ৭৫ রানে। 
কাল ইতিহাসের দিনে জয়ের ইনিংসকে বর্ণনা করা যায় তিনটি শটে। উইয়ান মালডার করেন মিডিয়াম পেস। তবে ৪০০ মিনিটের বেশি ব্যাট করা একজনের জন্য ওই মিডিয়াম পেস সহজ না। তাকেই টানা তিন চার মেরে দিলেন জয়। দুটি লং অফ দিয়ে একটি ডিপ মিড উইকেটে। যেন ক্রিকেট শুদ্ধতার প্রতীক সেইসব শট। গ্যাপ দেখে তুলে মারার বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। শুধু এই তিন শটে অবশ্য জয়ের ইনিংসের মহত্ত্ব বর্ণনা করা যাবে না। ১৭০ বল খেলে করেছেন ৫০ রান। 
সেঞ্চুরির আগে তাই জয় কৃতিত্বটা পাবেন সেখানে। বিশ্বের কত ব্যাটারই তো দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে গিয়ে খাবি খেয়েছেন। ভারতের সেরা ব্যাটিং লাইনআপকেও লড়াই করতে হতো সেখানে রান করতে। অথচ জয় ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন। বিশুদ্ধ ব্যাটিং টেকনিক, শট ও বল ছাড়ার কৌশল। সব মিলিয়ে কোনো প্রোটিয়া বোলারই তাকে বিপদে ফেলতে পারেননি। ওপেনে নেমে ব্যাট ক্যারি করার খুব কাছেই ছিলেন জয়। শেষ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে রানের চিন্তা না থাকলেও এই ইনিংসে তাকে আউট করা যেত কিনা সন্দেহ! ৩২৬ বলে ৪৪২ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৫টি অসম্ভব সুন্দর চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ১৩৭ করেছেন এই ব্যাটার।

2022-04-09 16:34:20

2022-04-09 06:34:20

Published
Categorized as 19

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *