মোহাম্মাদ আবদুল মতিন: করেনাভাইরাসের প্রথম তরঙ্গ মোকাবেলায় সফল দেশগুলোর মধ্যে একটি অস্ট্রেলিয়া। তবে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সেখানে দ্রুতই করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করছেন। প্রায় চার সপ্তাহ যাবত অর্থাৎ গত ২৩শে মের পর থেকে এপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। অস্ট্রেলিয়ায় এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪০৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০২ জনের এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ৮৮০ জন। অস্ট্রেলিয়ায় এপর্যন্ত সর্বমোট ১৯ লক্ষ ৭০ হাজার ২০৫ জন লোকের করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় ১৯ জুন শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রাড হ্যাজার্ড বলেন, যক্ষ্মার টিকাকে কোভিড-১৯ এর প্রভাব বন্ধ করার পক্ষে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এটা সাহায্য করতে পারে।
সিডনির ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা ভিক্টোরিয়ার মারডোক চিলড্রেন রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিচালিত একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেবেন এটা যাচাই করে দেখতে যে, বিসিজি ভ্যাকসিন লোকদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত ও সার্স-কোভি -২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারে কিনা।
এমসিআরআই’র পরিচালক অধ্যাপক ক্যাথরিন নর্থ বলেছেন, ‘ক্লিনিক্যাল এই ট্রায়ালটি কভিড-১৯ এর উপসর্গের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা যথাযথভাবে পরীক্ষা করার অনুমতি দেবে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও গুরুতর কভিড রোগীদের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করতে পারে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্র্যাড হ্যাজার্ড বলেছেন, ‘যদিও অল্প বয়স্ক অস্ট্রেলিয়ানরা প্রায় শত বছর আগে ফ্রান্সের এই ভ্যাকসিনটির তৈরির কথা হয়তো জানে না, তবে যক্ষ্মার বিস্তার রোধ করতে কয়েক দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ান স্কুল শিশুদের এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
ফরাসি মাইক্রোবায়োলজিস্ট অ্যালবার্ট ক্যালমেট এবং ক্যামিল গুউরিনের নামানুসারে এই ভ্যাকসিনটির নামকরণ করা হয়। অত্যন্ত সংক্রামক শ্বাসকষ্ট যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ১৯১৯ সালে এটা তৈরি করা হয়েছিল। সেই থেকে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা নির্মূলে অব্যর্থ প্রতিষেধক হিসাবে এটা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
2021-05-04 02:43:47
2021-05-04 09:43:47