অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনে ওআইসি বিভাজনের হুমকি দেয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল সৌদি আরব। ঋণ হিসেবে পাকিস্তানকে যে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হতো তা বন্ধ করে দিল সৌদি আরব।
সৌদির সঙ্গে পাকিস্তানের বিবাদের কেন্দ্র সেই কাশ্মীর। ২০১৮ সালে ধুঁকতে থাকা দেশকে বাঁচানের জন্য সৌদির কাছ থেকে ৬.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় ইমরান খান সরকার। ওই ঋণের মধ্যে ৩.২ বিলিয়ন ডলার পাকিস্তানকে দেয়া হয় তেল হিসেবে। চার মাস আগে ওই ঋণের ১ বিলিয়ন ডলার সৌদিকে ফেরত দিয়েছে পাকিস্তান।
তারপর গত দুই মাস হলো ওই ব্যবস্থার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে আর ওই পদ্ধতিতে ঋণ দিচ্ছে না সৌদি সরকার।সৌদির এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ নিয়ে সৌদিকে হুমকি দেয়ার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চটেছে সৌদি সরকার।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে সৌদি সরকার যদি ওআইসির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক না ডাকেন তাহলে ইমরান খান নিজে তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে বৈঠক করবে।এদিকে বহুবার কাশ্মীর নিয়ে কোনো আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে ওআইসি।
গত বছর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে ওআইসিতে কাশ্মীরের বিষযটি তোলার জন্য আদাজল খেয়ে লেগে রয়েছে ইমরান খান সরকার। এ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করাতে চাইছে পাকিস্তান। কেন কাশ্মীর নিয়ে সৌদি মাথা ঘামাচ্ছে না তার একটি গুরুতর কারণও রয়েছে। তুরস্কের এরদোয়ান সরকারের সঙ্গে ইমরান খানের সুসম্পর্ক খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না সৌদি।
2021-05-04 18:02:44
0000-00-00 00:00:00