সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় পোলট্রি মুরগির মাংসে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশী ১০৪ গুণ আর্সেনিক, ৫ গুণ নিকেল, ৩ গুণ ক্রোমিয়াম, ৩ গুণ পারদ ও ৪ গুণ সিসা পাওয়া যায়। এই জন্যই বাজারে যেসব পোলট্রি মুরগি পাওয়া যায় তাদেরকে দেখতেও সুস্থ মনে হয়না। এদের গায়ে পালক নেই বললেই চলে। সুস্থ মুরগি পালকও সুস্থ থাকে। আর এইসব মুরগির পালকইতো নেই। পৃথিবীর অন্য কোন সভ্য দেশ হলে এইসব মুরগি বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ হতো। আর মানুষও এইসব মুরগি কখনো বাজার থেকে কিনতো না।
পোলট্রি মুরগির মাংস ছোট ছেলেমেয়েদের প্রিয় খাবার। তাছাড়া আমাদের ছেলেমেয়েদের কাছে ফাস্ট ফুডের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য পোলট্রি মুরগি বেশি খাওয়া হচ্ছে। আমি কেবল ভাবছি আমরা কেমন বাবা-মা? আমরা কেমন নাগরিক? আমাদের কেমন সরকার? সামান্য লাভ বেশির জন্য এমন বিষাক্ত খাবার তৈরী করছে! আমরা কি কোনদিন কোনদিক থেকে সভ্য হবো না?
শুনেছি সাভার এলাকার ১২ টি বাণিজ্যিক খামার থেকে পোলট্রি মুরগী এবং তাদের খাবার ও পানি সংগ্রহ করে গবেষণাটি করা হয়েছে। অতিরিক্ত মুনাফা ও দ্রুত মুরগীর ওজন বৃদ্ধির জন্য মুরগীর খাবার ও পানিতে অতিমাত্রায় হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা হচ্ছে। কি সাংঘাতিক একটু কল্পনা করুন!
দেশ থেকে মানুষ পালাবে না কেন? আমরা শুধু টাকায় বড় হতে শিখছি। শিক্ষা ও মনে বড় হতে শিখছি না। আসুন না নতুন বছরে এই প্রতিজ্ঞা করি বাজার থেকে এইসব বিষাক্ত পোল্ট্রি মুরগি আর কিনব না। এইটা কি খব বড় চাওয়া?
আমরা জনগণও এইরকম। দিব্যি কিনে খাচ্ছি আর তারা ব্যবসা বাড়িয়েই যাচ্ছে। এই দেশে কোন সমস্যা ভাইরাল না হলে সরকারও কোন পদক্ষেপ নেয় না। আমরাতো পারি এই বিষয়টাকে ভাইরাল করতে।
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
2022-04-09 16:36:52
2022-04-09 06:36:52