রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাতেও দলীয়করণ করা হয়েছে। আইন তার নিজ গতিতে চলছে না, চলছে সরকারের সুবিধামতো। দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ আওয়ামী লীগময় হয়ে গেছে। আর এ কারণেই বিচারব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
ডাকসুতে হামলাসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এ মন্তব্য করেন।
নুর বলেন, রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থাতেও দলীয়করণ করা হয়েছে। এক আইনের দুই ধরনের প্রয়োগ আমরা দেখতে পাচ্ছি। একই আইন সাধারণ জনগণ ও বিরোধী মতবাদীদের জন্য এক রকম, আবার সরকারের জন্য সেই আইনই সুবিধা দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডাকসু হামলার ১ বছর হয়ে গেছে।
সব তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ।মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ও আমার সংগঠনের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ডাকসু ভবনেই ডাকসুর ভিপিকে মেরে ফেলবে। সেই হামলার ভিডিও ফুটেজ, ছবি থাকার পরও এখন শুনি সেগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
হামলার দিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে নুর বলেছেন, আমরা সেদিন মামলা করতে চাইলে আমাদের মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ। কৌশল করে পুলিশই মামলার বাদী হলো, যেন তারা তাদের মতো করে মামলা সাজাতে পারে। সেই কৌশলের প্রমাণ পেলাম যখন তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হলো ধাক্কাধাক্কিতে আমরা কয়েকজন আহত হয়েছি। এমন বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে দেয়া যায় না।
নুর আরো বলেন, সরকার তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশে গুম, খুন ও নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। যারাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করে তাদের কণ্ঠরোধ করা হয়।
নুর বলেন, এত বছর হলো তনুর বাবা-মা তাদের সন্তান হত্যার বিচার পায়নি। সংবাদিক সমাজ তাদের সহকর্মী সাগর-রুনি হত্যার বিচার পায়নি। ৭৬ বার তদন্ত কাজ পিছিয়ে আর বিচার পাবে কি না তাতেও সন্দেহ রয়েছে। বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের বিচারের কথা বলা হলেও এখন তাদের পরীক্ষা দিবার সুযোগ করে দিচ্ছে বুয়েট প্রশাসন।
সেই সাথে ছাত্রলীগের কর্মীদের মামলা থেকে রেহাই দিতে চেষ্টা চলছে সরকারের পক্ষ থেকে। আবরারের মতো শিবির তকমা দিয়ে জনসম্মুখে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হলো। সেই হত্যাকারীরা ছাত্রলীগের বলেই প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
2021-01-30 06:29:31
0000-00-00 00:00:00