অবশেষে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক সংকটের ফলে আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি লাঘবে ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা পাঠানোর পাশাপাশি দেশটির রাজনৈতিক ও মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করতে চায় জাতিসংঘ।
তালেবানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। এতে সম্পর্ক স্থাপনের পক্ষে ভোট দেয় ১৪ দেশ। তবে একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে রাশিয়া।
এছাড়া জাতিসংঘ মনে করে, আফগানিস্তানের নারী, শিশু ও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় বিশেষ মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে এক বছরের জন্য জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশন কাজ করবে। দেশটির স্থিতিশীলতায় এ পদক্ষেপকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করা হয়।
এদিকে জাতিসংঘে নরওয়ের প্রতিনিধি মোনা জুল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এটি একটি নতুন প্রস্তাব। এখানে মূলত আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত বছর ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে দেশটিতে সার্বিকভাবে বিপর্যয় শুরু হয়েছে। তাই এটা থেকে সাধারণ আফগানদের উদ্ধার ও আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনাই জাতিসংঘের লক্ষ্য।
এর আগে গত বছরের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নেয় তালেবান। তারপর থেকেই জাতিসংঘে এই দেশটির কোনো প্রতিনিধি কার্যত নেই। এখন পর্যন্ত এই গোষ্ঠীকে বিশ্বের কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। এর মধ্যে কয়েকটি দেশ ব্যতীত অধিকাংশ রাষ্ট্র আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস বন্ধ রেখেছে। এরপর থেকে বিদেশি সহায়তানির্ভর আফগানিস্তানে তীব্র হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক সংকট। মানবিক বিবেচনায় গত কয়েক মাসে আফগানিস্তানে কয়েক দফায় অর্থ, খাদ্য ও ওষুধ পাঠিয়েছে জাতিসংঘ। এবার নতুন পদক্ষেপ অনুযায়ী সহায়তা তালেবান সরকারের মাধ্যমে পাঠানো হতে পারে।
2022-04-09 16:35:01
2022-04-09 06:35:01