দুই দশক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনার প্রথম নথি প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাহী আদেশ দেওয়ার পর এফবিআই এ সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করল।
১৬ পৃষ্ঠার ওই নথিতে এই হামলার বিষয়ে ২০১৬ সালে ‘অপারেশন এনকোর’ এর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ওই অপরেশনে ৯/১১ হামলায় উল্লেখযোগ্য লজিস্টিক সাপোর্ট কারা করেছিল সে বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। এতে বলা হয়েছে, হামলাকারীদের সঙ্গে সৌদি সহযোগীদের (একাধিক ব্যক্তি ও ফোন কল) যোগাযোগ ছিল। তারা নাওয়াল আল হাজমি এবং খালিদ আল মিধারকে সহায়তা প্রদান করেন।
সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিচার বিভাগকে এফবিআইয়ের ৯/১১ তদন্ত থেকে সংবেদনশীল নথি প্রকাশ করার বিষয়ে পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন। এই নথি সৌদি কর্মকর্তাদের বিব্রত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
টুইন টাওয়ার হামলার এই নথি প্রকাশের জন্য ভুক্তভোগীদের পরিবার থেকে চাপে ছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এসব নথির তথ্যে সৌদি সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, এ বিষয়ে জোরালো কোনো তথ্য নেই। আগে থেকেই এই হামলার সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে সৌদি।
যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি দূতাবাস এই নথি প্রকাশের ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে সেটি প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। সেদিন চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের দুটি আকাশচুম্বী ভবনে হামলা চালানো হয়। ওই হামলা ছিল শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ একটি হামলা।
সেদিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনেও হামলা চালানো হয়। এছাড়া ছিনতাই হওয়া আরও একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভিলে। প্রথম বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে নর্থ টাওয়ারে আঘাত হানে। দ্বিতীয় বিমানটি সাউথ টাওয়ারে বিধ্বস্ত হয় এর অল্প কিছুক্ষণ পরই।
তৃতীয় বিমানটি পেন্টাগনের সদর দপ্তরের পশ্চিম অংশে আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উপকণ্ঠে ছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের বিশাল এই সদর দপ্তর। এরপর সকাল ১০টা ৩ মিনিটে চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভেনিয়ার এক মাঠে।
2021-09-13 17:28:52
2021-09-13 07:28:52