চুলের হাজারো সমস্যা দূর করবে এই ১০ খাবার

চুল নিয়ে আট থেকে আশি সবারই কম বেশি সমস্যা রয়েছে। চুল পড়া থেকে শুরু করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, শুষ্ক চুল, পাতলা চুল রুক্ষ চুল- হাজার সমস্যার শেষ নেই! আমাদের ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও অতিরিক্ত সময় এবং যত্নের প্রয়োজন হয় কারণ দূষণ, রাসায়নিকভাবে চাষ করা ফল এবং সবজি, দূষিত পানি, মানসিক চাপ, অনুপযুক্ত পুষ্টি, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, কম খাবার খাওয়া, ব্যায়ামের অভাব সব মিলিয়ে প্রভাব পড়ে চুলের উপরে। ঘন ও সুস্থ চুল চাইলে আপনাকে রোজের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বেশ কয়েকটি খাবার! এই সুপারফুড বেশ কিছুকালের মধ্যেই চুলের মানে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আনবেই-

কুমড়ার বীজ
কুমড়া বীজ দস্তা সমৃদ্ধ এবং এটি সেলুলার উত্পাদন, কোষ বিভাগ এবং বৃদ্ধি, চুল তৈরি করে এমন একটি প্রোটিন কেরাটিন গঠন করতে সাহায্য করে।

অ্যাভোকাডো
চুলের বৃদ্ধি ও ঘনত্বেরর জন্য এই ফলটি চমৎকার। কারণ এতে উচ্চ পরিমাণে তামা রয়েছে যা কোলাজেন এবং এলাস্টিন তৈরি করে। শেল মাছ, গোটা শস্য, গাঢ় সবুজ শাক, সবজি এবং মেথি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে যাতে চুলগুলো শক্তিশালী হয়।

ডিম
ডিম চুলের বৃদ্ধি উন্নীত করে। ডিম প্রোটিন এবং বায়োটিনের সংমিশ্রণ হওয়ায় তা চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর।

ফ্যাটি মাছ
ম্যাকেরেল, স্যালমন এবং হেরিং মত মাছ প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। স্যালমনে ভিটামিন ডি এবং প্রোটিনের থাকায় তা চুল শক্তিশালী করে, চুলের গোড়া মজবুত করে।

বেরি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসে ঠাসা বেরি চুলের জন্য দুর্দান্ত। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, এবং ক্র্যানবেরি; ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা কোলোজেন উত্পাদন এবং লোহার শোষণে সহায়তা করে, যা চুল বৃদ্ধি বাড়ায়।

মিষ্টি আলু
মাঝারি মাপের মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ-সরবরাহকারী পর্যাপ্ত বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন এবং চুলের উন্নতি দেখুন।

শাক
ভিটামিন এ এবং সি, লোহা এবং ফোলেটের মতো উপাদান থাকে শাকে। লাল রক্ত ​​কোষগুলোকে সারা শরীর জুড়ে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে এবং চুলের উন্নতি ও মেরামত করে। গাঢ় সবুজ পাতাতে পাওয়া ভিটামিন এ সিবাম উত্পাদন করতে সহায়তা করে, যা চুলের গোড়া স্বাস্থ্যকর রাখে।

সয়াবিন
সয়াবিনে থাকা স্পার্মিডাইন চুলের বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর। চুলের বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখতে চাইলে আপনার ডায়েটে নিয়মিত স্ট্যু, স্যুপ বা স্যালাড খান।

তামার পানি
ধাতব এবং খনিজ পদার্থ সব সময় শরীরের উপর প্রভাব ফেলে। আগেকার দিনে মানুষ রূপা, সোনা, তামা ও কাঁসার তৈরি পাত্রেই খেত। সারা রাত যদি পানি কাঁসার গ্লাসে রাখা যায় তাহলে সকালে খালি পেতে সেই পানি খেলে চুলের বৃদ্ধি এবং শরীরের উপকার হয়।

মাংস
চুলের বৃদ্ধির জন্য একেবারে অপরিহার্য প্রোটিনের উৎস হল মাংস। বিশেষ করে রেড মিট লোহার সমৃদ্ধ উৎস, যা চুলের বৃদ্ধিকে সহায়তা করে।

2021-01-30 06:29:31

0000-00-00 00:00:00

Published
Categorized as 17

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *