৪৫টি দেশ চীনের উইঘুর গণহত্যার বিরুদ্ধে এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন জিনজিয়াংয়ে উইঘুর সংখ্যালঘুদের ওপর যে নিপীড়ন চালাচ্ছে, সেটাকে গণহত্যা বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ক্যাম্পেইন ফর উইঘুর নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এটা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর অধিকাংশই চীন থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে। তবে দেশগুলো বলেছে, গণহত্যার মতো বিশ্বাসযোগ্য অপরাধে যুক্ত দেশ থেকে জেনেশুনে তারা আর স্বৈরাচারী পণ্য ক্রয় করবে না। চীনের তথাকথিত বন্ধুবান্ধবরা তাদের বলছে যে তারা কী ধরনের বর্বর অঞ্চলের অধিকারী।
আফ্রিকান দেশগুলোর কাছে আপনি কিভাবে আশা করেন যে রুটিন ট্র্যাক কূটনীতির মাধ্যমে সেখানে পরিবর্তন আনা সম্ভব। আপনি আধুনিক যুগে অস্ট্রেলিয়ান উপনিবেশবাদ এবং দাসত্ব ফিরিয়ে আনাতে সন্তুষ্ট হবেন না নিশ্চয়ই। বিনিয়োগের জন্য চীন বর্তমানে যে কৌশলগুলো ব্যবহার করে তারমধ্যে অন্যতম বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে চীন বৈশ্বিক আধিপত্য বিস্তারের কৌশল নিয়েছে। টিসিপির আওতায় মঙ্গোলিয়ান শ্রমিকদের লাঠিপেটা এবং বাড়ি থেকে ধরে এনে কাজে যুক্ত করা হয়। চীনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সচেতন হওয়া দরকার। তারা আপনার থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য রক্ত এবং মুসলমানদের জীবনকে বেছে নিয়েছে।
আপনি কি মনে করেন, চীন ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে, এমনটা আপনার সঙ্গে ঘটবে না? আমাদের সতর্কবাণীগুলো মনে রাখতে হবে যে চীন পশ্চিমা উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টা শুরু করার আগেই আপনাদের প্রতিটি দেশে উপনিবেশ স্থাপন করবে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) এসব দুষ্টু কার্যকলাপ প্রতিরোধে এখনই সোচ্চার হোন। অনন্তকাল সময় পাবেন না। এখন পর্যন্ত যা দেখছেন, সেটা ছিল চীনের ছায়া। আগামী দিনে সিসিপি আরো সক্রিয় হয়ে উঠবে। তাই এখনই প্রতিরোধ করুন এবং খুব দেরি হওয়ার আগে নিজেকে বাঁচান।
2021-05-04 18:39:22
0000-00-00 00:00:00