চীনের আতংক কাটেনি, এবার ট্যাঙ্ক কিনছে ভারত!

সীমান্তে চীনের কাছে সেনা হারানোর পর ভারত সরকার জরুরি কেনাকাটার আওতায় সেনাবাহিনীকে লাইটওয়েট ট্যাঙ্ক কেনার অনুমতি দিয়েছে। উচ্চ মালভূমি এলাকায় এসব ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হতে পারে।
লাইটওয়েট ট্যাঙ্ক পুন:প্রবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। লাদাখের মতো জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এসব ট্যাঙ্ক। অনেক ভারি মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্কের তুলনায় পাহাড়ি এলাকায় লাইটওয়েট ট্যাঙ্ক পরিচালনা অনেক সহজ।
চীন লাদাখের পূর্বাঞ্চলে এলএসি বরাবর গত এপ্রিল থেকেই নতুন টাইপ-১৫ লাইটওয়েট ট্যাঙ্ক মোতয়েন করেছে। ফলে ভারতও একই পথে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সীমান্তে চীন অনড় অবস্থানে থাকবে বলে মনে হচ্ছে। তাই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে জরুরি কেনাকাটার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
সূত্রগুলো জানায়, সেনাবাহিনী বিমানে পরিবহনযোগ্য ট্যাঙ্ক কিনতে চাচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় চীনের ভালো সড়ক যোগাযোগ থাকলেও ভারতের তা নেই। ফলে অগ্রবর্তী এলাকায় ভারি সরঞ্জাম দ্রুত পৌছানোর জন্য ভারতের জন্য এয়ারলিফ্ট একমাত্র ভরসা।
গত সপ্তাহে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যেসব জরুরি কেনাকাটার অনুমতি দেয়া হয় তার একটি এই লাইটওয়েট ট্যাঙ্ক। এছাড়া সংগ্রহের অনুমতির মধ্যে রয়েছে ইসরাইল থেকে নতুন লয়টারিং মিউনিশন ও আরো হেরন ড্রোন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিগ সুয়ের রাইফেল ও কাঁধে বহনযোগ্য বিমান বিধ্বংসী মিসাইল, স্পাইক এন্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং বহু রকম গোলাবরুদ।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায় যে লাদাখের একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় চীন তার টি-১৫ ট্যাঙ্কের বহর ক্যামোফ্লেজ করে মোতায়েন করে রেখেছে। এর বিপরীতে ভারতও লাইটওয়েট ট্যাঙ্ক মোতায়েন করলে তা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।
তবে জরুরিভাবে লাইটওয়েট ট্যাঙ্ক সংগ্রহের ক্ষেত্রে ভারতের সুযোগ সীমিত কারণ বিশ্বের খুব কম দেশই লাইটওয়েট ট্যাঙ্ক তৈরি করে। চীন থেকে সংগ্রহের প্রশ্ন নেই। আবার যুক্তরাষ্ট্র তার মোবাইল প্রটেকটেড ফায়ারপাওয়ার কর্মসূচির আওতায় যে লাইট ট্যাঙ্ক তৈরি করছে তা এখনো প্রোটেটাইপ পর্যায়ে। তবে রাশিয়ার বিমানে পরিবহনযোগ্য লাইট ট্যাঙ্ক স্পুট এসডিএম১ রয়েছে। এগুলো ভারতের ব্যবহার করা টি-৭২ ও টি-৯০ ট্যাঙ্কের মতোই।
ভারতের বিশাল ট্যাঙ্ক বহর থাকলেও এগুলো প্রধানত মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক—টি৭২, টি৯০ ও অর্জুন। এসব ট্যাঙ্ক সমতল ভূমিতে যুদ্ধের উপযুক্ত। এসব ট্যাঙ্ক হিমালয় অঞ্চলে পাঠানো হলেও সেখানে তেমন কাজ দেবে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। পাহাড়ি পথে এগুলোর চলাচল একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।
ভারত একসময় লাইটওয়েট ট্যাঙ্ক ব্যবহার করেছে। ১৯৪৭-৪৮ সালের কাশ্মির যুদ্ধ, ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে এগুলো ব্যবহার করা হলেও পরে ধীরে ধীরে বাতিল করে দেয়া হয়।
ব্রেনি/অমৃ

2021-05-04 02:27:00

2021-05-04 09:27:00

Published
Categorized as 18

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *