গোপনে দেশের নাম বদলেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

গোপনে দেশের নাম বদলে ফেলেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দেশিটিতে। শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরেই শুরু হয়েছে বিবাদ।

বেশির ভাগ নেতাই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা করে অবিলম্বে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

ঘটনাটির সূত্রপাত হয় কয়েক দিন আগে। নেপালের সংসদীয়বিষয়ক, আইন ও বিচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়।

তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, এখন থেকে সব সরকারি সংস্থাকে দেশের নামের জায়গায় ‘ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ নেপাল (Federal Democratic Republic of Nepal)’- এর পরিবর্তে শুধু ‘নেপাল’ লিখতে হবে।

কেন আচমকা দেশের নাম পরিবর্তন করা হলো তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি ওই নির্দেশিকায়। এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নেপালের শাসকদলের মধ্যেই।

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে দেশের সরকারি নাম আচমকা পালটে দেওয়া যায় না। এর জন্য মন্ত্রিসভা ও সংসদে আইন পাস করাতে হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ওলি কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এমনকী গত সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হলেও কত তারিখে তা হয়েছে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংবিধানে দেশের নাম ফেডারেল ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ নেপাল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় এই তিনটি স্তরে প্রশাসনের পরিকাঠামো তৈরির কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু, সবার অন্তরালে সেই পরিকাঠামো পালটে ফেলে নিজের হাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা নিয়ে আসতে চাইছেন কেপি শর্মা ওলি। সে জন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (Nepal Communist Party) স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সদস্য লীলামনি পোখারেল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী ওলি ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে বর্তমান ব্যবস্থাকে ভাঙতে চাইছেন। নিজেকে সর্বশক্তিমান করার জন্যই এই কাজ করছেন তিনি।

2021-05-04 19:26:55

0000-00-00 00:00:00

Published
Categorized as 18

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *