উপর থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সহজ করে দেন। গ্যার্টলারের উপর আবারো পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে দুটি মানবাধিকার সংস্থা। গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার সঙ্গে বন্ধুত্বের খাতিরে সে দেশের সঙ্গে কয়েকটি খনি চুক্তি করতে পেরেছিলেন গ্যার্টলার।
সেগুলোকে অস্বচ্ছ ও দুর্নীতিগ্রস্ত চুক্তি আখ্যায়িত করে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে গ্যার্টলারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই সময় মন্ত্রণালয় বলেছিল, গ্যার্টলারের প্রতারণার কারণে কঙ্গো দশ বছরে ১.৪ বিলিয়ন ডলার বা ১১ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্যার্টলার মার্কিন নাগরিক, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারতেন না, বিশেষ করে ডলারে লেনদেন করতে পারতেন না।
কঙ্গোতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কোবাল্ট আছে। এছাড়া তামা, হীরা, সোনা ও টিনের খনিও আছে।
নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়েছেন গ্যার্টলার। বিশেষ করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথমবার অভিশংসন প্রক্রিয়া চলার সময় ট্রাম্পের পক্ষে লড়া অ্যালান ডরশোউইৎসকে নিয়োগ দিয়েছিলেন গ্যার্টলার।
ডরশোউইৎসসহ গ্যার্টলারের আইনজীবী দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল’ বা ওএফএসি-র সঙ্গে লবি করেছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও বাস্তবায়নের কাজ দেখাশোনা করে ওএফএসি।
ট্রাম্প প্রশাসনের শেষের দিকে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় গ্যার্টলারকে একটি লাইসেন্স প্রদান করে, যার ঘোষণা প্রকাশ্যে দেয়া হয়নি। এই লাইসেন্স গ্যার্টলারের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে পুরোপুরি মুছে না দিলেও ইসরায়েলি ঐ ব্যবসায়ীকে লেনদেনের অনুমতি দিয়েছে। তবে গ্যার্টলারকে প্রতি ৯০ দিনে একবার আর্থিক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত জানাতে হবে।
এই লাইসেন্স দেয়ায় গ্যার্টলার ওএফএসির প্রতি কৃতজ্ঞ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র।
2021-05-04 19:49:03
2021-02-01 02:28:13