ক্ষমতা যার রমজান আলীরা তাদের, এই হল রাজনীতি

সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনি সম্পাদক ও এক সময়ের বিএনপির দাপুটে নেতা বর্তমান ৩নং ঘোরজান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব মোঃ রমজান আলী। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমায় আসলে ক্ষমতা লোভী, বিতর্কিত নেতা মোঃ রমজান আলী ক্ষমতার লোভে তৎকালীন বিএনপির সংসদ সদস্য মেজর কাদেরের হাত ধরে ২০০৩ সালে খাষধলাই আর,আর,কে দাখিল মাদ্রসা মাঠে দলবলে বিএনপিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে চৌহালী থানা বিএনপির ২৭ নম্বর কার্য নিবার্হী সদস্য পদ নেন। তিনি ২০০৮ সংসদ নির্বাচন পযর্ন্ত বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন। 
পরবর্তীতে  আওয়ামী লীগ ক্ষমাতায় আসার পর তার স্ত্রীর বড় ভাই জনাব ফারুক সরকার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তার হাত ধরে আওয়ামী লীগে পুনর্বাসিত হন এবং আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দলের থানা শাখার সাংগঠনিক পদ বাগিয়ে নেন রমজান আলী। ফারুক সরকার ও তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় তার একক নাম কেন্দ্রে পাঠিয়ে আওয়ামী লীগের ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে নেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তিনি ক্ষমতার দাপটে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করতে থাকেন। 
২০২০ সালে জলাই মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিলের সরকারী ত্রাণ ও বিজিপির চাল আত্মসাৎ, বিতরণে অনিয়ম, সরকারি চাল অবৈধভাবে নিজ দপ্তরে মজুদ করা, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে ভিজিডির চাল বিতরণ এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব দেওয়ান মওদুদু আহমদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইচ চেয়ারম্যানের সামনে তাকে অভিযুক্ত করলে, তিনি দ্রুত পালিয়ে যান। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামল হলে স্থানীয় তদন্তে সে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের সুপরিশের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়  ৩নং ঘোরজান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব মোঃ রমজান আলীকে সাময়িক রবখাস্ত করে। পরবর্তীতে ভবিষ্যতে এই ধরনের কোন কর্মকান্ড আর করবে না মর্মে শেষবারের মতো সর্তক করে স্থানীয় সরকার বিভাগ তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়। তার নামে দুদুকেও একটি মামলা চলমান আছে।
২০২১ সালোর জুন মাসে ঘোরজান ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশের চাকরির নিয়োগে পরিক্ষার ঘুস গ্রহণ এবং পরিক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠে চেয়ারম্যান জনাব রমজান আলীর বিরুদ্ধে। এনিয়ে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ঘোরজান ইউনিয়নের দক্ষিণ তেঘরি গ্রামের অব্দুর মজিদ বলেন, ঘোরজান ইউনিয়নে গ্রামপুলিশে চাকরিরত অবস্থায় গত বছর তার বাবা আব্দুস সালাম মারা যান।  এর পর ঐ পদে চেয়াম্যান রমজান আলী তাকেই নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে দেড় লাখ টাকাও প্রদান করেছিলেন দরিদ্র দিন মজুর আব্দুর মজিদ। আব্দুল মজিদ অভিযোগ করেন তিন লাখ টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান রমজান আলী নাসির উদ্দিন নামের অপর এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি একধিক প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন বা সম্মানী উত্তোলন করতে পাবে না। কিন্তু চৌহালী বাসীর কাছে দুর্নীতির বরপুত্র চেয়ারম্যান রমজান আলী মুরাদপুর দাখির মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করলেও কোন দিন মাদ্রাসায় যায় না। কিন্তু প্রতি মাসের বেতন ভাতাদী ঠিকই উত্তোলন করে থাকেন। দেশের বিদ্যমান আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুরি দেখিয়ে প্রতিমাসের মাসের বেতন উত্তোলন করেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের ভাতাও  উত্তোরন করেন। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে মুখ খোলা সাহস পান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একধিক ব্যক্তি বলেন তার অন্যায়ের কেউ প্রতিবাদ করলেও তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এলাকাবাসী চেয়ারম্যান রমজান আলীর দমন পীড়ন থেকে মুক্তি চায়। কেউ কেউ এজন্য আওয়মী লীগের নীতি নির্ধারকদের কাছে রমজান আলীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

2021-11-03 18:11:30

2021-11-03 18:11:30

Published
Categorized as 17

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *