একজন শিক্ষার্থীর কাছে যৌনতা, বিলাস পণ্য প্রদর্শন আর ধর্ম প্রীতি- এই তিন বিষয় পেলে আর তো কিছু পাবার দরকার নাই, নিশ্চিত হবেন শিক্ষা সার্থক। এইই প্রমোট করে আমাদের রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা। সুতরাং শিক্ষার্থীটি সহি।
‘যৌনতা’ / ‘সেক্স’ ধর্ম ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার পুঁজি।
ধার্মিকেরা ‘যৌনতা’ কে ইহকালে ট্যাবু বানিয়ে পরকালে ৭০ হুরী ও সারাবের নহরে থাকবে; সেখানে এ ভিন্ন আর তো কোন কাজ নাই। তাদের এই ৭০ হুরীকে আবার পাহারা দিবে তাদের বিবি, তিনি হবেন সেখানে সর্দারনী। ইহজগতে যে নারী নিগৃহীত নিপীরিত পরজগতেও সে থাকবে একই অবস্থানে। ইহজগতে তার কাম চরিতার্থ করা ভিন্ন নারীর কোন কর্মই নাই। কামের বাই-প্রডাক্ট হিসাবেই তার কাছে সন্তান – উত্তরাধিকার। ইহ জগতে ধর্মের চোখে নারী সেবাদাসী ও আর বিনা পরিশ্রমে সন্তান লালন পালন ও সংসার দেখভাল করবার শ্রমিক মাত্র। ধর্মের দৃষ্টিতে সন্তানের মালিক নারী নয় পুরুষ।
রাষ্ট্র সেক্সকে ব্যবহার করে তার শ্রম শক্তির প্রয়োজনে। শ্রমশক্তির আধিক্য দেখলে মেয়েদের হাতে তুলে দেয় জন্ম বিরতি করন পদ্ধতি। শ্রমশক্তি কমে গেলে সন্তান উৎপাদনে দেয় প্রণোদনা। রাষ্ট্রের কাছেও সেক্স তাই হাতিয়ার ঐ ধর্মের মতই এবং নারী শ্রমিক উৎপাদনের কারখানা (ফ্যাক্টরি) মাত্র। নাগরিকের যৌনতাকেও পুঁজি করে রাষ্ট্র ঠিক ধর্মের মত করেই।
ধর্ম পারলৌকিক আর রাষ্ট্র ইহ-জাগতিক। রাষ্ট্র পরিচালিত হবে ইহ-জাগতিক বিষয়াবলী দিয়েই। নারী নিপীড়ন বন্ধ করতে, নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে রাষ্ট্রের জনগণের হাতে। রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি / শাসনতন্ত্র / সংবিধান সংস্কার করে সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া কোন পথই খোলা নাই।
2021-03-15 22:19:23
2021-03-15 11:19:23