১২ জুন বিকালে বিষয়টি জানান তার মেয়ে লিজা শ্যাম।
তিনি জানান, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভালো। তেমন কোনও সমস্যা নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই আমরা চলছি। ঘরে ফিরলেও উনাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। এটাই নিয়ম। সঙ্গে আমরা পরিবারের সদস্যরাও সচেতন থাকার চেষ্টা করছি।’
এসময় তিনি কৃতজ্ঞতা জানান, চিকিৎসক-সাংবাদিকসহ উৎকণ্ঠায় থাকা সবার প্রতি।
এর আগে, গত ২৬ মে শ্বাসকষ্ট সমস্যার কারণে এই শিল্পীকে শ্যামলীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ মে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করার পর বাসায় ফিরে যান এই শিল্পী। ৩০ মে ফলাফল পজিটিভ জানার পর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পীকে।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রচারিত সুজেয় শ্যামের সুর করা গানগুলোর মধ্যে ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’, ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, বাংলাদেশের নাম’, ‘আজ রণ সাজে বাজিয়ে বিষাণ’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘ওরে আয়রে তোরা শোন’, ‘আয়রে চাষি-মজুর কুলি’, ‘রক্ত চাই, রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার’ উল্লেখযোগ্য।
২০০৯ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ৫০টি গান এই প্রজন্মের শিল্পীদের দিয়ে নতুন সংগীতায়োজনে গাইয়েছেন সুজেয় শ্যাম। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন পার্থ বড়ুয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০১৪ সালের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়, এটিরও সংগীতায়োজন করেন সুজেয় শ্যাম।
হাছন রাজাকে নিয়ে নির্মিত ‘হাছন রাজা’ (২০০২) চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করে পান প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের বিশেষ অনুরোধে এই চলচ্চিত্রের একটি গানেও কণ্ঠ দেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ‘জয়যাত্রা’ ও ‘অবুঝ বউ’ চলচ্চিত্রের গানের সংগীত পরিচালনা করে যথাক্রমে ২০০৪ ও ২০১০ সালে একই পুরস্কার লাভ করেন তিনি।