করোনার নয় বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষণের ভ্যাকসিন প্রয়োজন

কি হচ্ছে বাংলাদেশে। পুরো বিশ্ব কাঁপছে মহামারি করোনাভাইরাসে আর বাংলাদেশ কাঁপছে ধর্ষণের ভয়ে। ৩০ লক্ষ শহিদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল কি আজকের এই দিন দেখার জন্য। সোনার বাংলাদেশে তো কোন মা-বোন’ই নিরাপদ নই। প্রতিদিনি ধর্ষণ হচ্ছে কোন না কোন নারী।

স্বাধীন বাংলাদেশ কি আজ ধর্ষণের বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে? দেশটা কি তাহলে ধর্ষকদের অভয়ারণ্যে পরিনত হচ্ছে? কিছু মানুষরূপী হায়না আমাদের সকল নীতি-নৈতিকতা ও গৌরবের জায়গাকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে কাদের পৃষ্টপোষকতায়? রাষ্ট্র এই লজ্জা কোথায় রাখবে? হাজারও প্রশ্ন মনে উদয় হচ্ছে। কিন্তু উত্তর নেই।

বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা নতুন নয় এটা সবারই জানা। কিন্তু এটা যেন এখন মহামারি আকার ধারণ করছে। দেশে একের এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধুকে গণধর্ষণ, মুন্সিগঞ্জে ৭২ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, হবিগঞ্জের মা ও মেয়েকে গণধর্ষণ, কলেজ ছাত্রী তনুকে গণধর্ষণ করে হত্যা, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, রাজধানীর ওয়ারীতে ৭ বছরের শিশু সায়মাকে ধর্ষণ করে হত্যা ও নোয়খালিতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে পাশবিক নির্যাতন ও উলঙ্গ ভিডিও প্রকাশ। এসব কি মেনে নেওয়ার মতো। কিন্ত তবু মেনে নিতে হচ্ছে।

একের পর এক প্রশ্ন মনে আসছেই। ধর্ষকরা কি আদো মানুষের বাচ্চা? ওদের ঘরে কি মা-বোন আছে? হ্যাঁ আছে। কিন্তু ওরা যদি পরিবারের কথা চিন্তা করতো তাহলে হয়তো এমন কাজ করতে পারতোনা। তাহলে ওদের কিসের সাথে তুলনা করা যায়, পশুর সাথে? কিন্তু পশুর সাথে তুলনা করলে পশুর মানসম্মানও যাবে কারণ ওদের থেকে বেশি পশুরও মূল্য আছে। ওদের সাথে তুলনা করার মতো কোন নিকৃষ্ট জিনিস আছে বলে আমার জানা নাই।

কিছুদিন আগেই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে দেশে ৯৭৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে, গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২০৮ নারী।

এখন কথা হচ্ছে সারা বিশ্বে করোনার ভ্যাকসিন দরকার হলেও বাংলাদেশে সবার আগে ধর্ষণের ভ্যাকসিন দরকার। আর সে ভ্যাকসিন আদো পাব কিনা জানিনা।

কুরসিয়া জামান প্রিতম
শিক্ষার্থী; সংবাদকর্মী।

2021-01-30 06:29:31

0000-00-00 00:00:00

Published
Categorized as 17

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *