ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ আসিফ নজরুল তাঁর ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন “সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাবুল বিমানবন্দর ধরনের দৃশ্য বাংলাদেশেও হতে পারে।” এতে ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্ষেপে গিয়ে উনার তালাবদ্ধ কক্ষে আরো তিনটি তালা লাগিয়েছে। এছাড়া উনার কক্ষের সামনে “দেশদ্রোহী”, “জংগীবাদের মদদদাতা” ইত্যাদি অত্যন্ত অশোভনীয় ভাষার পোস্টার সাঁটিয়েছে।
অথচ উনি কোনো দল/সংগঠনের নাম মেনশন করেননি। এদের মনে এমন ভয় কেন? তালাবদ্ধ কক্ষে আরো তিনটা তালা দিয়ে ছাত্রলীগ কি বার্তা দিয়েছে? সরকারী দলে রাজনৈতিক ক্ষমতাই কি সব সামর্থ্যের মূল! নাকি এদের চালকাশক্তি দল ভিনদেশী মদদে ক্ষমতায়? তাৎপর্যপূর্ণ বটে।
দিনের পর দিন একজন সিনেমার নায়িকার ঘটনা নিয়ে পড়ে আছি আমরা, কেমনে পারি বলেন তো? দুই তিন দিন পর পর কিছু ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, ভিডিও খুব হিসেবে করে ফাঁস করা হয়, আর আমরা অতি উৎসাহে ঝাঁপিয়ে লালডা না নীলডা, এই জাতীয় ট্রলে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তাও যদি বুঝতাম ন্যায়ের পক্ষে, মানবিকতার পক্ষে কথা বলতেছি। সাহস থাকলে এই চরম বাস্তবটুকু নিয়ে একটা ট্রল করেন তো দেখি। একটা মজা করেন তো দেখি।
জানি পারবেন না। কারণ আপনার ট্রল, আপনার ভাঁড়ামির বিষয় এই রাষ্ট্রের সবচেয়ে কম বিপদজনক ব্যক্তিরাই হয়ে থাকে বেশীরভাগ সময়। ওইটাই সবচেয়ে সহজ, ঐটাই সবচেয়ে নিরাপদ। তাই ওইটাই বার বার বেছে নেন আর সত্যের পক্ষে নীরব থাকেন। এত ভাঁড়ামি কেমনে পারেন?
2021-08-19 03:02:23
2021-08-18 17:02:23