ইতিকাফ কি, কেন এবং এর গুরুত্ব – হাফেজ মো: ইমাম হোসাইন

রামাদানের শেষ দশ দিনের অন্যতম ইবাদত হলাে ইতিকাফ করা। ইতিকাফের অর্থ হলাে সার্বক্ষণিকভাবে মসজিদে অবস্থান করা। ওযু, ইসতিনজা, পানাহার ইত্যাদি একান্ত প্রয়ােজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের না হওয়া। মসজিদে অবস্থানকালে ঘুমানাে, বসে থাকা বা কথাবার্তা বলা যায়। তবে ইতিকাফরত অবস্থায় যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে, সকল জাগতিক চিন্তা, কথাবার্তা ও মেলামেশা বাদ দিয়ে সাধ্যমত আল্লাহর যিক্র ও ইবাদত বন্দেগিতে রত থাকা। না হলে নীরব থাকা।
ইতিকাফ মূলতই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, তদুপরি লাইলাতুল কাদর-এর ফযীলত লাভের জন্যই এ সময়ে ইতিকাফের গুরুত্ব বাড়ে। আয়েশা (রা) বলেন,
“রাসূলুল্লাহ রামাদান মাসের শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করতেন। তিনি তাঁর ওফাত পর্যন্ত এভাবে ই’তিকাফ করেন। অতঃপর তাঁর স্ত্রীগণ তার পরে ইতিকাফ করেন।”
আমাদের সকলেরই চেষ্টা করা দরকার রামাদানের শেষ দশদিন সুন্নাত ইতিকাফ আদায় করার। না হলে নফল-মুস্তাহাব হিসেবে দু-এক দিনের জন্যও ইতিকাফ করা যায়। যদি পুরাে দশ দিন না পারি তবে দু-এক দিনের জন্য হলেও ইতিকাফ করা দরকার। রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে: “যদি কেউ তার ভাইয়ের প্রয়ােজন মেটাতে হাঁটে তবে তা তার জন্য দশ বৎসর ই’তিকাফ করার চেয়েও উত্তম। 
আর যে ব্যক্তি একদিন আল্লাহর সম্ভুষ্টির উদ্দেশ্যে ইতিকাফ করবে আল্লাহ তার ও জাহান্নামের মধ্যে তিনটি পরিখার দুরত্ব সৃষ্টি করবেন, প্রত্যেক পরিখার প্রশস্ততা দুই দিগন্তের চেয়েও বেশি।
তাই আমাদেরকে এই ফযিলত পূর্ণ আমল বা ই’তিকাফ পালনের  জন্য নিজের প্রস্তুতি গ্রহণে আরো সচেতন হওয়া জরুরী। এবং সম্ভব হলে এবারই ই’তিকাফে বসবো।
ইতিকাফ সংক্রান্ত আরো জানার জন্য আপনার যেকোন প্রশ্ন পাঠাতে পারেন-
হাফেজ মো: ইমাম হোসাইন 
info@abnews.com.au 

2022-04-21 16:56:42

2022-04-21 16:56:42

Published
Categorized as 57

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *