এসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান) মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কটে কার্যকরভাবে সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর প্রধান কারণ নেতৃত্বের অভাব এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা সংস্থাটির বুঝতে না পারা। একদল আঞ্চলিক আইনপ্রণেতার তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
আসিয়ান পার্লামেন্টেরিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, আসিয়ান তার নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলেই মিয়ানমারকে আসিয়ান সম্পৃক্ততার মানদণ্ড দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। এতে বলা হয়, জাকার্তার আসিয়ান সচিবালয়ে নেতৃত্বের ব্যর্থতাও ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিকে সমঝোতা ও হস্তক্ষেপ না করার নীতি এবং অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চিৎকারের ফলে আঞ্চলিক ব্লকটি এই সঙ্কটে সাড়া দিতে হিমশিম খেতে থাকে। ফলে তারা সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির চক্র থেকে বের হতে পারেনি।
মিয়ানমারের সামরিক দমন অভিযানের ফলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা, বেশির ভাগই মুসলিম, বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। বিষয়টি এখন জাতিসঙ্ঘের শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। যারা বাংলাদেশে চলে গেছে, তারা ঘিঞ্জি বস্তিতে অবস্থান করছে। আর যারা এখনো মিয়ানমারে রয়ে গেছে, তারা বাস্তুচ্যুৎ লোকদের শিবিরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
অগ্রাহ্য করার বিষয় নয়
মিয়ানমার কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করে এলেও রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। এটাই এই সঙ্কটের মূল বিষয়।
এপিএইচআর বোর্ডের প্রধান মালয়েশিয়ার এমপি চার্লস সান্টিয়াগো বলেন, আসিয়ান বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছে। এটি আসলে মিয়ানমারেরই দৃষ্টিভঙ্গী। তিনি বলেন, সংস্থাটি নাগরিকত্ব, ধর্মীয় অধিকার, ভূমি ইস্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর অবসান ঘটায়নি। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোই অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
2021-01-30 06:29:31
0000-00-00 00:00:00