গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর দেশটির বহু সরকারি কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তাদের সবাইকে দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে নবগঠিত তালেবান সরকার। আফগানিস্তানের নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ এই আহ্বান করেন। তিনি বলেছেন, তালেবান তাদের ‘নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে’।
তিনি বলেছেন, তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কূটনীতিক, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও মানবিক ত্রাণ সংস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তারা আঞ্চলিক সহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করতে চান।
তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা ওমরের খুব ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন মোল্লা আখুন্দ। তালেবানের নেতারা আফগানিস্তানের মানুষের কাছে ‘মহান দায়িত্ব ও পরীক্ষার’ মোকাবেলা করেছেন বলে জানিয়েছেন আখুন্দ।
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের ইতিহাসে আমাদের এই আন্দোলনে বহু অর্থ ও জীবনের ক্ষতি হয়েছে। দেশে রক্তপাত, হত্যা ও মানুষের প্রতি ঘৃণার দিন শেষ হয়েছে।’
২০০১ সালের নাইন ইলেভেন হামলার পর আফগানিস্তানে আক্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর পক্ষে যারা কাজ করেছেন তাদের জন্য ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান।
বিষয়টি উল্লেখ করে মোল্লা আখুন্দ বলেন, ‘কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে, আমরা প্র্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করছি। এই ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আপনি যা চান তা করা খুবই সহজ। তালেবান খুবই শৃঙ্খলিত এবং বন্দুকধারীদের নিয়ন্ত্রণ করছে। পূর্বের কৃতকর্মের জন্য আমরা কারও ক্ষতি করিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি ইসলামি জাতি, বিশেষ করে আফগানিস্তানের জনগণকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, আমরা সবার সফলতা ও কল্যাণ চায়। আমরা ইসলামি নিয়ম প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ ধরনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সকলের উচিত আমাদের সাথে সামিল হওয়া।’
মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধান করে গত মঙ্গলবার ৩৩ সদস্যের একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। এদের মধ্যে ১৪ জন ১৯৯৬-২০০১ সময়ে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দায়িত্ব পালন করেন। পাঁচজন গুয়ানতানামো বে’তে বন্দি ছিলেন। আর ১২ জন পরবর্তী প্রজন্মের।
2021-09-13 17:28:31
2021-09-13 07:28:31