আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ান সেনাদের যুদ্ধাপরাধ বিচার দাবি চীনের

যারা নিজেদেরকে মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক বলে মনে করে তাদেরই এক সদস্য অস্ট্রেলিয়ার সেনাদের আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনকে ভণ্ডামি হিসেবে অভিহিত করেছে চীন।

বেইজিংয়ে চীনা পররষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ বাহিনী আফগানিস্তানে বেসামরিক লোকজন ও কয়েদিদের হত্যা করার খবরে আমরা মর্মাহত। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। এটা আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও মানব বিবেকের লঙ্ঘন।

বেইজিং ঘটনার নিবিড় তদন্ত ও দায়িদের শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানায় যে তাদের সেনারা আফগানিস্তানে যে যুদ্ধপরাধ করেছে। এই অপরাধে এরই মধ্যে অন্তত ১৩ সেনাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

৩৯ জন বেসামরিক আফগানকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয় সেনাদের বিরুদ্ধে।

চীনা মুখপাত্র বলেন, এই রিপোর্ট কিছু পশ্চিমা দেশের ভণ্ডামি প্রকাশ করে দিয়েছে, যারা নিজেদেরকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বরকন্দাজ বলে মনে করে।

অন্যের দিকে আঙ্গুল তোলার আগে নিজেদের সমস্যা দূর করা ও রাজনৈতিক জালিয়াতি বন্ধ করার জন্য মুখপাত্র পশ্চিমা দেশগুলোকে পরামর্শ দেন মুখপাত্র।

বেইজিং এই অপরাধের বিচার দাবি করেছে।
[28/11, 11:35 pm] Jukul Khan: এলএসি থেকে ভারত চীনের সেনাপ্রত্যাহার প্রশ্নে অচলাবস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পূর্ব লাদাখের বিরোধপূর্ণ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে এখনো একমত হতে পারেনি ভারত ও চীন। ফলে আসন্ন ভয়ংকর শীতের মধ্যেও সেখানকার পর্বত চূড়ায় সেনাদের অবস্থান করার বিষয়টি একরকম নিশ্চিত হয়ে গেছে।

গত সাত মাস ধরে চলা সীমান্ত সংঘাত নিরসনের আলোচনা এখন বলতে গেলে হিমাগারে। দুই দেশের সেনা কমান্ডার পর্যায়ে আট দফা আলোচনা করেও কোন অর্থবহ অগ্রগতি হয়নি। ৬ নভেম্বর সর্বশেষ দফা আলোচনা হয়।

একটি সূত্র বলে, পরস্পর-সম্মত প্রত্যাহারের সঠিক মডালিটি ও ধাপগুলো কিভাবে সাজানো হবে তা নিয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। চীন এখনো নবম দফা সামরিক আলোচনার তারিখ দেয়নি।

ভারতীয় সেনাদের আগে সরিয়ে নিতে হবে বলে দাবি করে আছে চীন। প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীর ও চুসুল এলাকায় গোপনে অভিযান চালিয়ে কিছু পর্বত চূড়া দখল করেছে চীনা সেনারা। এসব চূড়া ভারতীয় পক্ষকে কৌশলগত সুবিধা দিচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়।

ভারত বলছে আগে প্যাংগং সো লেকের উত্তর তীর থেকে সেনা সরাতে হবে চীনকে। সেখানে মে মাস থেকে ৮ কিলোমিটার চওড়া একটি ভূখণ্ড চীনা সেনাদের দখলে। এটি ফিঙ্গার ৪ ও ৮-এর মধ্যবর্তী অঞ্চল।

এটাই বিরোধের মূল উৎস। একই সঙ্গে ফিঙ্গার এলাকা থেকে কতদূরে সেনারা সরে যাবে সেই প্রশ্নেরও নিষ্পত্তি হয়নি। এছাড়া গত সাত মাস ধরে কৌশলগত অবস্থানে থাকা দেপসাং সমভূমিতে ভারতীয় সেনাদের টহল আটকে রেখেছে পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) সেনারা।

আট দফা আলোচনাকালে সংঘাতের এলাকা থেকে সেনা, ট্যাঙ্ক, কামান, সাঁজোয়া যান সরিয়ে নেবে বলে ব্যাপকভিত্তিতে সম্মত হয়েছিলো ভারত ও চীন। ফলে দ্রুত অচলাবস্থার নিরসন ঘটতে যাচ্ছে বলে ধারণা তৈরি হয়।

কিন্তু এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়। যৌথ যাচাই ম্যাকানিজমেও দুই পক্ষ একমত হতে পারেনি। সেখানে উভয় পক্ষের ৫০,০০০ হাজার করে সেনা অবস্থান করছে। ফলে ভারতীয় নিরাপত্তা মহলে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক-কূটনৈতিক পর্যায়ের হস্তক্ষেপ না ঘটলে নিকট ভবিষ্যতে এই মোতায়েনই হবে কার্যত অবস্থান।

ভারতের সিনিয়র অফিসাররা বলছেন, প্রত্যাহার নিয়ে কোনরকম তাড়াহুড়া করার দরকার নেই। বরং ভারতীয় সেনারা যেন কৌশলগত-অসুবিধাজনক অবস্থানে সরে না আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

তাদের যুক্তি হলে পিএলএ সেনারাও একই পরিবেশে রয়েছে। তাছাড়া ভারতীয় সেনারা এ ধরনের উচ্চভূমিতে অবস্থান করতে বেশি অভ্যস্ত।

পূর্ব লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলের উচ্চতা ১৫,০০০ ফুটের বেশি। শীতকালে সেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। এছাড়া রয়েছে অক্সিজেন স্বল্পতা।

এক কর্মকর্তা বলেন, এলএসি যদি পাকিস্তানের মতো এলওসি-তে পরিণত হয় তাহলে আগামী শীতে ভারত আরো সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।

গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে হাতাহাতি লড়াইয়ে ২০ ভারতীয় সেনা ও অজ্ঞাত সংখ্যক চীনা সেনা নিহত হয়। তখন থেকে দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা চলছে।

2021-05-04 19:32:28

0000-00-00 00:00:00

Published
Categorized as 18

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *