আওয়ামীলীগের নেতা ও তার ছেলের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরী (১৫) বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। 
আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। 
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে বরগুনা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (৫২) ও তার ছেলে আরিফ (২৬)। সোমবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।
বরগুনা পৌরসভার পশ্চিম বরগুনার বাসিন্দা ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ের বাবা নেই। আমি তরকারি বিক্রি করে রোজগার করে খাই। কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ আমাকে বাইরে থাকতে হয়।
আমার মেয়ে অধিকাংশ সময় নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সঙ্গে তাদের বাসায় থাকত। মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করাত। কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করবে কখনই ভাবিনি। বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না। আমার মেয়ে এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, নুর ইসলামকে আমি খালু বলে ডাকতাম। তাদের বাসায় গেলে আমাকে দিয়ে তারা কাজ করাতেন। প্রায় দিনই নুর ইসলাম আমার শরীরে হাত দিতেন। বিয়ের করার কথা বলতেন। আমি চুপ করে শুনতাম। তার ছেলে আরিফও একই কাজ করতেন। পরে এক দিন আরিফ জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ভয় দেখিয়ে আরও দুই দিন ধর্ষণ করেছে। ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি। এখন সবাই বলছে আমার নাকি বাচ্চা হবে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার বিষয়টি নিয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে বরগুনা সদর থানার ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে রোববার রাত সাড়ে ১২টায় নুর ইসলাম ও তার ছেলে আরিফকে থানায় আনেন। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।
বরগুনা সদর থানার ওসি একেএম তারিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

2022-04-09 16:36:52

2022-04-09 06:36:52

Published
Categorized as 17

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *