কথায় কথায় যারা আইনের শাসনের কথা বলেন তারা মনে হয় ধরেই নেন আইনের কোন গণবিরোধী চরিত্র নাই। সব আইন নিয়ে জনমনে এক ধরনের পজিটিভ ধারনা তৈরীর এইসব কারিগররা আসলে জ্ঞানপাপী।আইনের অগণতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক চরিত্রের মধ্যে ইনারা কোন পার্থক্য দেখেন না।
মানুষের মৌলিক অধিকারকে শর্ত দিয়ে নিয়ন্ত্রন করার সাংবিধানিক আইনের মধ্যে ইনারা কোন গণবিরোধী চরিত্র দেখেন না ।ইনাদের মুখে আর একটি কথা হরহামেশাই শুনতে পাবেন ‘সুশাসন’ কায়েম করতে হবে। কিন্তু সুশাসন বলতে ইনারা আসলে কি বোঝাতে চান সেটাও স্পষ্ট নয়। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনের ভুমিকা অনস্বীকার্য কিন্তু সে আইন যদি গণবিরোধী হয় তবে জনস্বার্থেই তা পরিতাজ্য।
অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধররা যেসব আইন প্রণয়ন করে তা যদি গণবিরোধী হয় তা বাতিলের প্রশ্নে জনগণের মতামতকে হিসেবের মধ্যে নেয়ার জন্য স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অবশ্যই থাকতে হবে যেটা আমাদের দেশে সাংবিধানিক ভাবেই অনুপস্হিত। সুশাসনের প্রবক্তারা এইসব বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন।
অর্থাৎ আইনের শাসন ও সুশাসনের কথা বলা হয় জনগণকে বোকা বানানোর জন্য। জনস্বার্থে আমাদের যেটা বলা প্রয়োজন তাহলো গণবিরোধী সব আইন বাতিল করতে হবে এবং দেশ পরিচালনায় জনগণের নিকট গ্রহনযোগ্য আইনের চর্চা করতে হবে।
2021-01-30 06:29:31
0000-00-00 00:00:00