করোনার এই সময়টা পরিবারের সঙ্গে বেশ ভালোই কেটেছে সাকিব আল হাসানের। মহামারির শুরু থেকেই সাকিব রয়েছেন পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মেডিসন শহরে।
ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর খুব বেশি ম্যাচও মিস করতে হয়নি দেশ সেরা এই অল-রাউন্ডারকে।
কেন না, কদিন পরেই মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যায় ক্রিকেটাঙ্গন। তাই সাকিবের মতো তার সতীর্থরাও রয়েছেন খেলার বাইরে।
তবে চার মাস পর একক অনুশীলনের অনুমতি পেয়েছে ক্রিকেটাররা। বেশ কজন যোগ দিয়েছেন অনুশীলনেও।
এদিকে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদও শেষ হয়ে আসছে। আগামী অক্টোবরের ২৮ তারিখে শেষ হবে এক বছর মেয়াদি এই নিষেধাজ্ঞা।
সতীর্থরা যখন ফিরতে শুরু করেছেন এক এক করে, সাকিব তখন বসে থাকবেন কেন। সাকিবেরও তাই মাঠে ফেরার তাড়া।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত না হলে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েই ফিরতে হতো খেলায়।
তবে নিজেকে ফিরে পাবার লড়াইয়ে সাকিব বেচে নিয়েছেন ইংল্যান্ডকে।
এখানেই অনুশীলনে নামবেন সাকিব, যেমনটা ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে ভারতের হায়দরাবাদে ব্যক্তিগত কোচ রেখে অনুশীলন করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, নিজেকে ফিরে পাবার জন্য এই তিন মাসই যথেষ্ট।
আগামী মাস (আগস্ট) থেকেই আমার অনুশীলনে ফেরার কথা। নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার আগে তিন মাস সময় পাব অনুশীলনের।
নিষেধাজ্ঞার পর এই লম্বা সময়ে আমি কিছুই করিনি। আমি মনে করি, এই তিন মাসই যথেষ্ট নিজেকে ক্রিকেটের জন্য আদর্শ গড়নে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সাকিব আরও বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ দুই মেয়েকে সময় দিব, পরিবারের সঙ্গে কাটাব। এরপর বাকিটা সময় শুধু ক্রিকেটে মনোযোগ দেব।
2021-05-04 21:08:54
0000-00-00 00:00:00